গাজা ও লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকা ও লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সৈন্যদের অনুপ্রবেশের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে দ্বিমুখী এই হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর আল জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৭ মিনিটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এখন লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। এর সত্যতা স্বীকার করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর টায়ারে একটি উদ্বাস্তু শিবিরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে স্থানীয় এক টিভি চ্যানেল। এর আগে গাজায় বেশ কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েল। সেখান থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে এই দুই জায়গা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় তার দেশের শত্রুদের ‘যে কোনো আগ্রাসনের জন্য মূল্য দিতে হবে’ বলে ঘোষণা দেন। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

লেবাননে হামলা

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে ৩৪টি রকেট ছোড়ার কথা জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা দাবি করে, লেবানন থেকে হামাস সদস্যরা তাদের দেশে রকেট আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম লেবানন থেকে ইসরায়েলে ছোড়া ২৫টি রকেটকে প্রতিহত করেছে। তবে অন্তত চারটি ইসরায়েলের ভেতরে পড়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গাজার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় তারা দুটি সুড়ঙ্গ ও দুটি অস্ত্র স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর কয়েক মিনিট আগে গাজার প্রধান সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট অপারেশন্স রুম জানায়, তারা ইসরায়েলের কাছ থেকে আসা যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত। এদিকে দক্ষিণ লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহও জানিয়েছে, আল-আকসা হামলার প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনিদের ‘সকল পদক্ষেপকে’ স্বাগত জানাবে তারা।

উল্লেখ্য, রমজান মাসের শুরু থেকে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর বেশ কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। মসজিদটি থেকে মুসল্লিদের বের করে দিতে ইসরায়েলি সেনাসদস্যরা স্টান গ্রেনেড পর্যন্ত ব্যবহার করে। এর ফলে পুরো অঞ্চলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আল আকসা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মুসল্লিদের মারধর করছে। আবার কোথাও কোথাও মুসলমান যুবক ও শিশুদের হাত-পা বেঁধে মেঝেতে শুইয়ে রাখে।

চলতি বছর মুসলিমদের পবিত্র রমজান, ইহুদিদের পাসওভার (পবিত্র দিন) এবং খ্রিষ্টানদের ইস্টার উৎসব একই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।