রাষ্ট্রীয় সংস্থায় একীভূত হচ্ছে সিরিয়ার কুর্দি বাহিনী, স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ার কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) কে রাষ্ট্রীয় সংস্থায় একীভূত করার চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মার্কিন সমর্থিত এসডিএফ’র মধ্যে এই চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণাধীন আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে।

মার্কো রুবিও

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে যা বিশ্বাসযোগ্য, অসাম্প্রদায়িক শাসনব্যবস্থা প্রদর্শন করে, যা আরও সংঘাত এড়ানোর সর্বোত্তম পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো, সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

সোমবার, সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারা এবং এসডিএফ কমান্ডার মাজলুম আবদি জানান, ‘উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সকল বেসামরিক এবং সামরিক প্রতিষ্ঠান’ জাতীয় প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত করার জন্য তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমানবন্দর, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রও অন্তর্ভুক্ত।

গত ডিসেম্বরে আল-শারার নেতৃত্বে সিরীয় বিরোধী বাহিনীর হাতে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে দেশটিতে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে সারা সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি, আসাদ-পন্থী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসডিএফ’র সহায়তা এবং কুর্দি জনগণ সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের নাগরিকত্ব ও সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

আল-আসাদের পতনের পর থেকে এসডিএফকে সিরিয়ার রাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা চলছিল, কিন্তু অন্যান্য বিরোধী দলের তুলনায় এসডিএফ ক্ষমতাচ্যুত শাসকের বিরোধিতায় কম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছিল, যার ফলে চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

আইএসআইএল (আইসিস) জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এসডিএফ’র সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছিল, যাদের তথাকথিত খিলাফত ২০১৯ সালে উৎখাত করা হয়েছিল।

এসডিএফ’র প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে, যারা এই গোষ্ঠীটিকে কুর্দি জাতীয়তাবাদী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি শাখা হিসেবে দেখে, যাকে আঙ্কারা একটি ‘সন্ত্রাসবাদী’ সংগঠন বলে মনে করে।