দখলকৃত অঞ্চলের প্রধানদের নিয়ে পুতিনের বৈঠক

পূর্ব ইউক্রেনে দখলকৃত চার অঞ্চলের প্রধানদের নিয়ে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনে পুতিনের পাশে বসে ভার্চুয়াল এ বৈঠকে যোগ দেন চার অঞ্চলে রুশপন্থী প্রশাসনের প্রধানরা। এ সময় পুতিন চার অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার ও ইউক্রেনের পক্ষের প্রচারণা কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দেন।

পুতিনের পাশে বসে বৈঠকে যোগ দেন ডনবাস ও দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশপন্থী কর্মকর্তারা

পুতিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী (অবকাঠামো) মারাত খুশনুলিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু, সশস্ত্র বাহিনী প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভলোদিন, উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের সভাপতি ভ্যালেন্টিনা মেতভিয়েঙ্কোসহ স্বরাষ্ট্র, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা। এদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে যোগ দেন দোনেৎস্কের ডেনিস পুশিলিন, লুহানস্কের লিওনিদ পাশেচনিক, খেরসনের ভ্লাদিমির সালদো ও জাপোরিঝঝিয়ার ইয়েভগেনি বালিটস্কি।

ক্রেমলিন সূত্রের বরাতে রুশ প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, বৈঠকে চার অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে এসব অঞ্চলের সমন্বয় জোরদার, উন্নয়ন কার্যক্রমের গতিবৃদ্ধি নিয়েও কর্মকর্তারা কথা বলেছেন।

বৈঠকে পুতিন বলেন, রাশিয়ার বিচার, শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে চারটি অঞ্চলকে যত দ্রুত সম্ভব এক তালে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে গৃহায়ন ও সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন হচ্ছে। কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-পেনশন দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক ঋণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চার অঞ্চলে এখনও শঙ্কা, ভীতি বিরাজ করছে। কিয়েভ প্রশাসন সেখানে নাশকতা চালাচ্ছে। এ কাজে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্ষমতাকে তারা কাজে লাগাচ্ছে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে, এমন ভাবার সবগুলো কারণ উপস্থিত আছে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধী চক্রগুলোও পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে। চার অঞ্চলে অপরাধ, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং সেখান থেকে অন্যত্র অস্ত্র-বিস্ফোরক পাচারের চেষ্টার বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। ডনবাসে যারা রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তারা যেন সবসময় অনুভব করে যে একটি বিশাল দেশ তাদের পাশে আছে।

ইজভেস্তিয়া জানিয়েছে, বৈঠকে পুতিন আগামী ১ জুনের আগে চার অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচারণা কঠোর হাতে দমনের নির্দেশ দেন।

মস্কো পৌঁছেছেন লুকাশেঙ্কো: পৃথক খবরে জানা গেছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে মস্কো পৌঁছেছেন। বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণার পর এ বৈঠক হতে যাচ্ছে।