ইমরানের হুঁশিয়ারি: মিয়ানমার হয়ে যেতে পারে পাকিস্তান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান জাতিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জাতি এখন চরম ক্রান্তি লগ্নে দাঁড়িয়ে আছে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে পাকিস্তান মিয়ানমারের মতো হয়ে যেতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ইমরান খান

ইমরান খান গতকাল সোমবার টুইটবার্তায় লেখেন, পাকিস্তানেও মিয়ানমারের মতো সামরিক একনায়কতন্ত্র বিরাজ করতে পারে। দেশ এখন সেদিকেই হাঁটছে। দেশ এখন এমন একটি মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখান থেকে তুরস্কের মতো প্রতিরোধ করতে পারে। তাহলে দেশ রক্ষা পেয়ে যেতে পারে। অন্য দিকে যদি জনগণ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে, তাহলে এটি অনতিবিলম্বে মিয়ানমারের মতো দেশে পরিণত হবে। সে পরিস্থিতিতে যাতে দেশ যেতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

টুইটারে ইমরান আরও লেখেন, আজ আমরা আমাদের ইতিহাসের একটি মোড়ে অবস্থান করছি, যেখানে আমাদের তুরস্ক বা মিয়ানমার যে কোনো দেশের মতো পরিণতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রত্যেককে বেছে নিতে হবে, পিটিআই আজ যেভাবে সংবিধান, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আন্দোলন করছে সেভাবে আন্দোলন করবে, নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত মাফিয়ার সাথে, ফ্যাসিবাদের আইনে নিজেদের নিষ্পেষিত হতে দেবে।

পিটিআইয়ের আন্দোলন, ফাইল ছবি

উল্লেখ্য, তুরস্ক ২০১৬ সালে একটি বড় ধরনের সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় একটি অংশ সরকারকে উৎখাত এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে সরিয়ে দিতে কয়েকটি বড় শহরে পরিকল্পিতভাবে অভ্যুত্থান শুরু করে। তবে এরদোয়ান তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তার সে ডাকে লোকজন রাস্তায় নেমে আসে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি অনুগত সেনা ও পুলিশের সহযোগিতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে দেশটি একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে দিয়ে দেশের সিংহাসনে বসে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি সামরিক নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। অং সান সুচিসহ দেশটির গণতন্ত্রপন্থী হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দল সে নিবার্চনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে।