হিজাব পরার অনুমতি পেলেন বার্লিনের মুসলিম শিক্ষিকারা

জার্মানির বার্লিন অঙ্গরাজ্যের মুসলিম শিক্ষিকারা এখন থেকে কর্মস্থলে হিজাব পরতে পারবেন। বার্লিনের শিক্ষা বিভাগ বুধবার স্কুলের পরিচালকদের কাছে পাঠানো একটি অফিসিয়াল চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদোলু ও মিডল ইস্ট মনিটর।

ফাইল ছবি

ওই চিঠিতে বার্লিনের শিক্ষা বিভাগ জানায়, সাধারণভাবে শিক্ষকদের স্কুলে হিজাব ও ধর্মীয় প্রতীক পরার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে এটি স্কুলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ভঙ্গ করবে না- এ শর্তারোপ করা হয়।

এমনিতে বার্লিনের নিরপেক্ষতা আইন বেসামরিক কর্মীদের কর্মস্থলে ধর্মীয় পোশাক ও প্রতীক পরতে বাধা দেয়। এই আইনের অধীনে ২০০৫ সাল থেকে বার্লিনের মুসলিম শিক্ষিকাদের জন্য হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন আদালতের বেশ কয়েকটি রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং সংবিধানে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে তার লঙ্ঘন।

বার্লিনের একটি স্কুল

জার্মানির সংবিধানে নিরপেক্ষতার কথা জোরদারভাবে বলা হয়েছে। এর ফলে স্কুলসহ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন প্রকাশকারী কোনো পোশাক পরা যাবে না। এ আইনের কারণেই স্কুলে হিজাব বা স্কার্ফ পরে যেতে পারতেন না মুসলিম শিক্ষিকারা। পরে বার্লিনে বসবাসকারী এক মুসলিম নারী আইনটির বিরুদ্ধে বার্লিন আদালতে একটি মামলা করেন।

দীর্ঘদিন পরে ২০১৮ সালে বার্লিনের নিম্ন আদালত ওই নারীর পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। রায়ে বলা হয়, হিজাব পরে মুসলিম শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারবেন। সরকারপক্ষ উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তারই প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের আগস্টে জার্মানির একটি আদালত তার রায়ে বলেছিলেন, বার্লিনের স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকারা এখন থেকে হিজাব পরতে পারবেন।

সিনেটের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভাগ ইয়ুথ অ্যান্ড ফ্যামিলি স্কুলের পরিচালকদের বলেছে, তারা যেন আদালতের এ রায় মেনে চলেন।