সংসদকে বিভ্রান্ত করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন জনসন

করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় নিয়ম ভেঙে পার্টি করার বিষয়ে একটি শুনানিতে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২২ মার্চ, বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপিদের জেরার মুখে পড়েন বরিস জনসন। সে সময় ‘পার্টিগেট কাণ্ড’ নিয়ে তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়। খবর রয়টার্স।

বরিস জনসন

হাউস অফ কমন্স এর স্ট্যান্ডার্ড কমিটি জনসনকে লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারি ভবনে বেশ কয়েকটি পার্টি সম্পর্কে সংসদে দেওয়া তার বিভ্রান্তিকর বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করে। কমিটি যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন, তাহলে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স থেকে বহিষ্কার হতে পারেন। এমনকি কমন্সে তার আসনও হারাতে পারেন।

কমিটির কাছে এক শুনানিতে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে জনসন বলেছেন, 'যদি কেউ মনে করে যে আমি লকডাউনের সময় পার্টি করছিলাম, তারা সম্পূর্ণ ভুল। তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই হাউসকে (হাউস অব কমনস) অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে সব প্রমাণ দেখানো হচ্ছে, তাতে বলা হয়েছে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছি। এটি সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য।'

তিনি জানিয়েছেন, এর আগে হাউস অফ কমন্স কমিটির শুনানির সময় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক পার্টি করার বিষয়ে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা সৎ বিশ্বাস থেকেই দিয়েছেন। এর মধ্যে কোনো অসততা ছিল না। কারণ নিজের অফিসে ১০ মিনিটের কম সময়ের জন্য সমবেত হওয়াকে পার্টি বলে মনে হয়নি তার কাছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ব্রিটেনজুড়ে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। সে সময় লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের কার্যালয়ে মদের পার্টি করেছিলেন। আর তার এই কেলেঙ্কারির খবর যখন ফাঁস হয়, তখন তিনি নিজের গদি বাঁচাতে পার্লামেন্টে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পার্টিগেট কাণ্ডের জেরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন জনসন।