জিকা ভাইরাসের জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে ব্রাজিলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মশাবাহিত রোগ জিকা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মশাবাহিত এই রোগটি পুরো বিশ্বের ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেজন্য সংস্থাটি জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। অবশেষে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

১৯ নভেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নয় মাস স্থায়ী থাকা হুঁশিয়ারি উঠিয়ে নিয়েছে। তবে মশাবাহিত রোগটিকে এখনো বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রাজিল থেকে সনাক্ত হওয়া জিকা ভাইরাস যখন আমেরিকা অঞ্চলে মহামারী আকার ধারণ করছিল তখন এটিকে স্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থার পর্যায়ে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উল্লেখ করেছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড্যানিয়েল ইপস্টেইন বলছেন, 'বিশ্বের অন্তত ৭৫টি দেশে জিকা আবারো মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে। পাশাপাশি জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। তবে জিকা ক্রমশই দুর্বল হয়ে আসছে।'

জিকা ভাইরাসে সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছিল নবজাতকরা। গবেষকরা বলছেন, কোন গর্ভবতী মা জিকা আক্রান্ত হলে অনাগত শিশুর অবকাঠামোগত অনেক অসুবিধা হতে পারে। যেমন নবজাতকের মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা ছোট হতে পারে। মস্তিষ্কের গঠন পরিপূর্ণ নাও হতে পারে। জিকা আক্রান্ত মায়ের এরকম সমস্যাযুক্ত নবজাতক প্রসবের অন্তত ৩০টি প্রমাণ গোটা বিশ্বে পাওয়া গেছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা

ওবামার দৃষ্টিতে যে কারণে হিলারির পরাজয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪টি জঙ্গিবিমান কিনবে কাতার ও কুয়েত

অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে রাশিয়া

সূচির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে অনলাইনে আবেদন