গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ছাড়াল ৫১ হাজার

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জন নিহত হয়েছে। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। দীর্ঘ ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি। খবর আল জাজিরার।

গাজায় তাঁবুতে আশ্রিতের ওপরও বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকা জুড়ে মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে আরও হামলা ও হতাহতের খবর মিলেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি মরদেহ পড়ে আছে বলে ধারণা তাদের, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে। এরপর দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস গাজায় হামলা বন্ধ রাখে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ইস্যু নিয়ে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে ফের উপত্যকাটিকে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে চালানো হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ১৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব:

৪৫ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। ১১ জিম্মির মুক্তির বিনিমিয়ে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে হামাসের দাবি পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদিও এ নিয়ে আলোচনা চলছে হামাসের মধ্যে।

এক জিম্মির হদিশ নেই:

আজ বুধবার হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে বন্দি মার্কিন-ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারের হদিশ নেই। তাকে পাহারায় থাকা হামাস সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মূলত এডানকে যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানে ইসরায়েল ‘সরাসরি বোমাবর্ষণ’ করার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।