অনুমতি ছাড়া স্বর্ণের ব্যবসা: যা বলছে সাকিবের প্রতিষ্ঠান

অনুমতি না নিয়ে স্বর্ণ ব্যবসা করার অভিযোগ এনে সাকিব আল হাসানের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি। বিষয়টি নিয়ে তারকা অলরাউন্ডারের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুমতি নিয়েই নিজেদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তারা।

স্বর্ণের ব্যবসায় সাকিব আল হাসান

রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসা শুরু করেন সাকিব। বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি এবং বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের যাত্রা শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল বনানীতে শো রুম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

সম্প্রতি রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ২৫ মের মধ্যে চিঠির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির অনুলিপি।

ব্যাখ্যা চেয়েছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি

সাকিবের কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই তাদের চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। গণমাধ্যমকে রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পার্টনার রাশেক রহমান বলেন, ‘আমরা স্বর্ণ আমদানি করে বিক্রি করি। আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স নিতে হয়। বিক্রির জন্য নিতে হয় জেলা প্রসাশকের লাইসেন্স। আমরা দুটি লাইসেন্সই নিয়েছি। স্বর্ণ ব্যবসার জন্য আর কোন অনুমোদনের বিষয় নেই।’

দ্রুতই বিএসইসির চিঠির জবাব দেবে সাকিবের কোম্পানি। রাশেক বলেন, ‘বিএসইসি আমাদের ব্যবসার বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই জানিয়ে দিব। তারা জানতে চেয়েছে আমরা ভবিষ্যৎ দামে স্বর্ণ বিক্রি করি কিনা? উত্তর হলো, আমার সেটা করি না। ভবিষ্যৎ ধারণা নির্ভর কোনো পণ্য বা মূল্য নির্ধারণ করে এমন কোন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সাথে আমরা জড়িত নই।’