সাকিবের পরিকল্পনা জানার অপেক্ষায় বিসিবি

সাকিব আল হাসানের কাছে যেন রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। দেশের হয়ে খেলার প্রতি তার অনাগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। আইপিএল নিলামের আগে শোনা গিয়েছিল সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলতে চান না। আইপিএলে এবার দল পাননি তিনি। সঙ্গত কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তার টেস্ট না খেলার কারণ নেই। কিন্তু এখনও সাকিবের ইচ্ছে বা সিদ্ধান্ত জানতে পারেনি বিসিবি।

সাকিব আল হাসান

সোমবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ওয়ানডে সিরিজের পরই সাকিবের সঙ্গে বসবেন বিসিবি সভাপতি। এ অলরাউন্ডারের কাছে এক বছরের পরিকল্পনা জানতে চাইবে বিসিবি।

চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘সাকিব একটা চিঠি দিয়েছিল যে ৬ মাসের জন্য টেস্ট খেলবে না। টেস্ট থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। কিন্তু সেটা আইপিএল নিলামের আগে। এরপরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছিল যে সে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে। এখন আইপিএলে যেহেতু যাচ্ছে না, তো পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সে বলেছে এই সিরিজের পরই বোর্ড সভাপতির সঙ্গে বসবে। বসে তার পরিকল্পনা জানাবে।’

অচিরেই নতুন বছরের জন্য ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করবে বিসিবি। যেখানে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। তার আগেই সাকিবের পরিকল্পনা জানতে চায় বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেন, ‘শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ না, সব বিষয়ই সাকিবের কাছে থেকে জানতে চাইবো। আমরা তার কাছে এক বছরের পরিকল্পনা চাইবো।’

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়েই টেস্ট নিয়ে সাকিবের টালবাহানা শুরু হয়। তখন টেস্ট থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার চোটের কারণে গত বছর উইন্ডিজদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারেননি। আইপিএলে খেলবেন বলে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলেননি। চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডেও টেস্ট খেলেননি তিনি।

চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবে দেশের হয়ে সব ম্যাচ খেলতে বাধ্য সাকিব। অবশ্য ক্ষেত্র বিশেষে অনুপস্থিত থাকতেই পারেন তিনি। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে উপস্থিতিই অনিয়মিত হয়ে গেছে।

বিসিবিও নাকি তাকে জোরাজুরি করবে না টেস্ট খেলতে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটা (বিসিবি) তো সেই ধরনের সংস্থা না। দয়া করে তাদেরকে আমাদের এমপ্লয়ি হিসেবে কনসিডার করবেন না। তারাও ক্রিকেটের একটি স্টেকহোল্ডার। হ্যাঁ, চুক্তি অনুযায়ী বাইন্ডেড থাকে। তবে সব জায়গায় আমরা কঠোর থাকি তা তো না। সমস্যা থাকলে বলতেই পারে। সিদ্ধান্তটা হলো আমাদের, যে আমরা কিভাবে নিবো। সে যদি চায় নির্দিষ্ট সময় টেস্ট খেলব, সেই স্বাধীনতা কি তার নাই? বলতে পারে। আগে দেখি সে কি জানায়।’