আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২৫ বছর আগের প্রতিশোধ নিলো ভারত। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এটা ভারতের তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০০২ ও ২০১৩ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল ভারত। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

kl rahul rolls out a sweepআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২৫ বছর আগের হারের প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। ছবি: আইসিসি

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ২৫১ রানের লড়াকু পুঁজি তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ছয় উইকেট হারিয়ে ম্যাচের ছয় বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত (২৫৪/৬)। এর আগে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতীয়দের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। যা আইসিসির প্রতিযোগিতায় কিউইদের প্রথম ও শেষ ট্রফি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকটি ফাইনাল হেরেছে তারা।

এ নিয়ে টানা ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরেছে ভারত। যার শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল দিয়ে। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি তাদের। আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ। ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তোলে দলটি। এরপরই ছন্দপতন হয় কিউইদের। পরপর তিন উইকেট হারায় তারা।

৭৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দলীয় শতক পার হতেই চতুর্থ উইকেটের পতন। উইল ইয়ং ২৩ বলে ১৫ রানে আউট হন। আরেক ওপেনার রাঁচিন রবিন্দ্রর ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৩৭ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন ১৪ বলে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন। আইসিসি ওয়ানডে সংস্করণের ফাইনাল এলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। আগের দুটি ফাইনালেও নিষ্প্রভ ছিলেন উইলিয়ামসন।

ডারিল মিচেল নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের হাল ধরেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে ভালোই লড়াই চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু অন্য প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিল লাগে। ৩০ বলে ১৪ রানে আউট হন টম লাথাম। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রানের চাকা সচল করেন গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল। দলীয় ১৬৫ রানে আউট হন ফিলিপস। ৫২ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। ১০১ বলে ৬৩ রানে ফেরেন মিচেল।

৫১ বলে ফিফটি করেন মিচেল। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় ধীরগতির ফিফটি। তবে ৩৯ বলে ফিফটি করেন ব্রেসওয়েল। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতের পক্ষে বরুন চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে শিকার মোহাম্মদ শামি ও রবিন্দ্র জাদেজার। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালেই রেখেছেন। পরে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল।

ভারতের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৫ রান। জুটি ভাঙে শুভমানের বিদায়ে। ৫০ বলে ৩১ রান করেন এই ওপেনার। বিরাট কোহলি এলেন আর গেলেন। দুই বলে এক রানে ফেরেন তিনি। একটু পর আউট হন রোহিত। জমে ওঠে ম্যাচ। ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। সাতটি চার ও তিন ছক্কার ওপর দাঁড়িয়ে ইনিংস সাজান তিনি। রোহিতের আউটের পর হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল।

দুজনই ফিফটির আভাস দেন। কিন্তু পারেননি একজনও। ৬২ বলে ৪৮ রান করেন শ্রেয়াস। ৪০ বলে ২৯ রানে ফেরেন অক্ষর। ২০৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। এ সময় কিছুটা আস্কিং রেটের চাপে পড়ে তারা। যদিও লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে চাপ সামাল দেন। ১৮ বলে ১৮ রানে আউট হন হার্দিক। তবে টিকে থাকলেন রাহুল। দলকে জিতিয়েই ২২ গজ ছেড়েছেন তিনি।

৩৩ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ছিলেন রাহুল। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েল। একটি করে শিকার কাইল জেমিসন ও রবিন্দ্রর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ২৫১/৭ (৫০ ওভার)।
ভারত: ২৫৪/৬ (৪৯ ওভার)।
ফল: চার উইকেটের জয় চ্যাম্পিয়ন ভারত।
ম্যাচ সেরা: রোহিত শর্মা (ভারত)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.