তামিম: রশিদ মুজিবদের নিয়ে মাতামাতি চাই না

গত কয়েক বছর ধরেই বিষয়টা বিদ্যমান বাস্তবতা। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের আগে আফগান তিন স্পিনারকে নিয়ে আলোচনা ত্তুঙ্গে উঠে যায়। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবীরা বল হাতে বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে। টাইগার শিবিরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বয়ে আনেন স্পিনার ত্রয়ী। তিন ফরম্যাটেই তারা রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে গেছেন।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তামিম ইকবাল

আগামীকাল শুরু হতে চলা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও আফগান স্পিনারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, শুধু তিন স্পিনারকে নিয়েই ভাবছে না বাংলাদেশ। তার মতে, অন্তত ওয়ানডেতে তাদের বিরুদ্ধে ভালো সফলতা রয়েছে। তাই তাদেরকে নিয়ে অতি-আলোচনা বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষের পুরো বোলিং আক্রমণকে নিয়েই পরিকল্পনা হচ্ছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আফগানদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে তামিম বলেন, ‘ওয়ানডেতে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই ভালো করেছি। তারা ভালো দল এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ আছে তাদের। তবে এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষেই আমরা আগে ভালো করেছি। কাল যারা খেলবে ব্যাট হাতে সবাই ছন্দে আছে।’

রশি, মুজিব, নবীদের নিয়ে বেশি মাতামাতি চাইছেন না তামিম। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলতে চাই না। যেটা বললাম- তাদের বোলিং অনেক ভালো, সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু এদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। আবার কেন করতে পারব না?’

বাঁহাতি এ ওপেনার আরও বলেন, ‘প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে। আপনারা তিনজনের নাম বলেছেন, কিন্তু তারা বল করবে ৫০ ওভার। বাকি যে দুইজন বল করবে তারাও ভালো। শুধু তিনজনকে নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ বোলার আপনি খুব কমই পাবেন। ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ সবসময়ই থাকে। এক দল হয়ত স্পিনে ভালো, আরেক দল হয়ত পেসে। আমাদের মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে।’

তিন স্পিনারের সঙ্গে আফগানদের পুরো দলকে নিয়েই কৌশল সাজানোর গুরুত্ব তুলে ধরে তামিম আজ বলেছেন, ‘ঐ তিন স্পিনার নিয়েই আমরা শুধু ভাবছি তা না। আমাদের ওদের ১১ উইকেট তুলতে হবে, তাই ওদের ব্যাটার নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ বোলার বল করবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি আমাদের ডেঞ্জার জোন কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব। এটা নিয়ে গত ১-২ দিন ধরেই কথা বলছি। এখানে বসে আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।’