সিলেটে জামাই আদর পাচ্ছেন মঈন আলী

মঈন আলীর পূর্ব পুরুষরা পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের। পারিবারিক সম্পর্কে বাংলাদেশের সঙ্গেও জড়িয়ে আছেন ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। সিলেটের মেয়ে ফিরোজা হোসেনকে বিয়ে করেছেন তিনি। দুজনেরই জন্ম, বেড়ে উঠা ইংল্যান্ডে এবং পরিচয়, পরিণয় সেখানেই।

সিলেটে মঈন আলী, ফাইল ছবি

বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে এখন সিলেটে আছেন মঈন। স্টেডিয়াম থেকে কয়েক মিনিট দূরে পীর মহল্লায় তার শ্বশুর বাড়ি। বাংলাদেশে অনেকবার আসলেও সিলেটে এটিই তার প্রথম ভ্রমণ। রোববার শ্বশুর বাড়ির লাগোয়া মাঠেই অনুশীলন করেছেন তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হোটেলে অনেকটা জামাই আদরই পাচ্ছেন। হোটেলের লোকজন তাকে সিলেটী ভাষা শেখাচ্ছেন।

মঈনের সিলেটে আসাকে কেন্দ্র করে একরকম পারিবারিক সম্মেলনই হয়ে যাচ্ছে। ফিরোজা হোসেনের বোন, ভাইসহ পরিবারের অনেকই আসছেন সিলেটে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে মঈন শ্বশুর বাড়িতে যেতে পারবেন কিনা বলা কঠিন। তবে সামগ্রিক বেশ উপভোগ করছেন তিনি।

মঈন আলি, ফাইল ছবি

আজ ইংলিশ এ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘পরিবারের অনেকেই এসেছে। আমার স্ত্রী এখানে। তার বোনরা, আমার শ্যালক, সবাই আছে। ওরা ঢাকায় আছে, দিন দুয়েকের মধ্যে সিলেটে আসবে ওরা।’

হোটলের সবার সহযোগিতায় সিলেটী ভাষা শিখছেন জানিয়ে মঈন বলেন, ‘কয়েকটি সিলেটি শব্দ জানি আমি, এই তো। সত্যি বলতে, আরও বেশি জানতে পারলে ভালো লাগত। চেষ্টা করব আরও শিখতে। এখন হোটেলে লোকেরা আমার সঙ্গে সিলেটি কথা বলছে। চেষ্টা করছি শিখতে।’

স্ত্রীর আহ্বানে অতীতে সাড়া দিতে পারেননি, তাই সিলেটে আসা হয়নি। তবে এখন সবাইকে নিয়ে আসতে পেরে খুশি মঈন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশও বাড়ি, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সবই আমার ঘর। সব আমার চোখে এক। আমার সব ইন-লজরা এখানে। অনেক শ্রদ্ধা আছে আমার। সিলেটে আমার এবারই প্রথম। ওরা আমাকে সবসময় বলত, ‘চলো সিলেটে যাই।’ কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে। হতাশাজনক যে বাইরে যেতে পারছি না। তবে এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। আমার পরিবার এখানকার। খুবই খুশি।’