সিলেটে রাজার অনুভূতিটাই অন্যরকম

বিপিএল, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ঢাকা ও চট্টগ্রাম হয়ে এখন সিলেটে ফিরেছে। এই সিলেটেরই কয়েকজন ক্রিকেটার এবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএল খেলছেন। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিন্ন হলেও সিলেটকে নিজেদের ঘরের মাঠ হিসেবেই দেখছেন তারা। তাদেরই একজন রেজাউর রহমান রাজা। এই পেসার তো ঘরে খেলার রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে আছেন।

রেজাউর রহমান রাজা, ফাইল ছবি

এ ছাড়াও সিলেটের নাসুম আহমেদ, এনামুল হক জুনিয়র ও জাকির হাসানরা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, এনসিএলে তারা সিলেট বিভাগের হয়েই খেলেন। রেজাউর রহমান রাজা ও নাসুম আহমেদের বাড়ি সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পাশেই। সে কারণে বিপিএল সিলেটে ফিরতেই রাজার মনে খেলে যাচ্ছে আনন্দের ঢেউ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবারের বিপিএলে ৪ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত রাজার শিকার মাত্র ২ উইকেট। ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে একাদশেও সুযোগ মেলেনি এই তুরুণের। এবার ঘরের মাঠে কোনো সুযোগ আসে কি না— সে অপেক্ষায় আছেন তিনি ও তার ভক্তরা। অবশ্য সিলেটে মাত্র একটি ম্যাচ খেলবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মিনিস্টার ঢাকার মুখোমুখি হবেন রাজারা।

ওই একমাত্র ম্যাচকে সামনে রেখেই আজ শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠ তথা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২-তে অনুশীলন করেন রাজা ও নাসুমরা। দলীয় অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় নিজের হোম গ্রাউন্ড নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন রাজা।

তিনি বলেন, অবশ্যই হোম গ্রাউন্ডে খেলা, সবারই একটা সুবিধা থাকে, মাঠ সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। ইনশা আল্লাহ সুযোগ পেলে চেষ্টা করবো ভালো করার। যদিও আবহাওয়াটা একটু ঠান্ডা তবুও আমরা আজকের অনুশীলনটা উপভোগ করেছি।

অবশ্যই যেহেতু আমাদের হোম গ্রাউন্ড, মাঠ সম্পর্কে উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে, ওই সুবিধাটাই নেওয়ার চেষ্টা করবো, বলেন তরুণ পেসার।

রাজা বলেন, আমাদের যেহেতু দুইটা ম্যাচ আছে, ম্যাচ বাই ম্যাচ যদি আগাইতে পারি তাহলে ভালো হবে। নেক্সট ম্যাচে আমরা ফোকাস করতেছি। ম্যাচটা যেন জিততে পারি সেই চেষ্টা করতেছি আমরা। আসলে লাস্ট যে টুর্নামেন্টগুলো হয়েছে, আমরা তেমন ভালো করতে পারি নাই। আশা করি, এই বিপিএল টুর্নামেন্টে ভালো পাবো। এই বিশ্বাস আরকি আমাদের।

বুস্ট আপ বলতে চেষ্টা করি যে, মাঠেই খেলার সুযোগ তাই ভালো করার জন্য। তারপরেও যেহেতু হোম গ্রাউন্ডে খেলা, এটা একটা সুবিধা মনে করি আমাদের নিজেদের জন্য। যারা আমরা...মাঠটা পরিচিত। চেষ্টা করবো এই সুবিধাটা যেন নেওয়া যায় আরকি। হোম বলতে আমার বাড়িটাও পাশে, মনে হইতাছে আমাদের ঘরে খেলতাছি। অনুভূতিটাই অন্যরকম। তার ওপর আমরা ৫-৬ জন দলে আছি, নিজের বিভাগীয় দলে খেলা। অনুভূতিটাই আলাদা, ভালো কাজ করতেছে।