কালো-গেরো থেকে মুক্তি মিলছে না ভারতের

নিউজিল্যান্ড দলকে ডাকা হয় ব্ল্যাক ক্যাপস নামে। এমন নামকরণের পেছনে কালো জাদুর কোনো সম্পর্ক আছে কি-না, সেটা আবিষ্কার করা যায়নি। সে যাই হোক, এই ব্ল্যাক ক্যাপসদের গেরো থেকে মুক্তি মিলছে না টিম ইন্ডিয়ার। রেকর্ড ঘাঁটতে বসলে তেমনটিই মনে হচ্ছে।

ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড

আইসিসির প্রতিযোগিতায় বারবার ভারতের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৯ থেকে ২০২১- এই ২২ বছরে মোট আটবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। এর মধ্যে মাত্র একবার নিউজিল্যান্ড-গেরো ছাড়াতে পেরেছে ভারত। বাকি সাতবারই পরাজয়ের স্বাদ বরণ করতে হয়েছে আকাশী জার্সির দলটিকে।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় ভারত-নিউজিল্যান্ড। আজহারউদ্দিনের ভারত ২৫১ রান তুলেও হেরে যায় ম্যাট হর্নের দাপটে। পরের বছরের সৌরভের ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস, ১১৩ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে একাই হারিয়ে দেন ভারতকে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে জয় পেয়েছিল ভারত। ১৪৬ রানে নিউজিল্যান্ডকে আটকে রেখে সহজ জয় ছিনিয়ে নেন রাহুল দ্রাবিড়রা। কিন্তু ওই একবারই। তারপর দেড় যুগ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়া হয়নি ভারতের।

আইসিসির টুর্নামেন্টে এমন একটা চিত্র স্থায়ী হয়ে গেছে

এরপরও টি-২০ বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো হরেক প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। অধিনায়ক বদলেছে, ক্রিকেটার বদলেছে, কিন্তু ফলাফল আগের মতোই। ম্যাচ শেষে জয়ের হাসি কিউইদেরই ছিল।

চলতি টি-২০ বিশ্বকাপেও এর ব্যত্যয় হয়নি। পাকিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচ হেরে হতভম্ব হয়ে পড়েছিল কোহলির দল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে। আর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটা গেঁথে দেয় কিউইরাই। সেমিফাইনালে পৌঁছার জন্য কিছু সমীকরণ বাকি থাকলেও আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায় নিশ্চিত করে কেন উইলিয়ামসনরা।

আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে কোনো জয় ছিল না পাকিস্তানের। এবার সেই গেরো কেটেছে বাবর আজমদের হাত ধরে। কিন্তু কালো ক্যাপ মানে ব্ল্যাক ক্যাপসের বিরুদ্ধে যে রেকর্ড দিন দিন গাঢ় হচ্ছে, তা থেকে আদৌ কি মুক্তি মিলবে কোহলি বা তার উত্তরসূরিদের?