টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সপ্তসারথির তিনজনই বাংলাদেশি

২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের বয়স এখন ১৪ বছর ছুঁই ছুঁই। এ সময়ে মাঠে থেকে বিশ্বকাপের অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন গুটি কয়েক ক্রিকেটার। মাত্র সাতজনেরই সৌভাগ্য হচ্ছে সবকটি আসর খেলার। তন্মধ্যে তিনজনই আবার বাংলাদেশি। দেখে নেওয়া যাক ভাগ্যবান অভিজ্ঞ সাত ক্রিকেটারকে যারা আছেন এবারের বিশ্বকাপেও।

মাত্র সাতজনেরই সৌভাগ্য হচ্ছে সবকটি আসর খেলার, তন্মধ্যে তিনজনই আবার বাংলাদেশি

সাকিব আল হাসান: সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসান। গেল রোববার সাতটি আলাদা বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা হলো তার। কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ছয় রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ২৭ ম্যাচে ৬২৯ রান করেছেন সাকিব। এ ছাড়া বল হাতে ৩২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

ডোয়াইন ব্রাভো: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম বোলার হিসেবে পর্যায়ক্রমে ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় সেরা বোলার সুনিল নারাইনের উইকেট ৪২৩টি। কিন্তু বিশ্বকাপে বোলার হিসেবে বড় ভূমিকা রাখতে পারেননি ব্রাভো। ব্যাটসম্যান ভূমিকায় ৫০৪ রান করেছেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। তার স্ট্রাইক রেট ১২৯.২৩। দুবারের বিশ্বজয়ী ব্রাভো এবারো মেরুন জার্সির অন্যতম ভরসা।

ডোয়াইন ব্রাভো

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: আগের ছয়টি আসর খেলেছেন আট-দশ জন খেলোয়াড়ের মতোই। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল খেলছে তার নেতৃত্বেই। ৩৫ বছর বয়সী মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও অফ স্পিনারের একটা হতাশা আছে। ২৪ ম্যাচ খেললেও বিশ্বকাপে কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই তার। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার এ পর্যন্ত ২৩৪ রান করেছেন। বল হাতে নিয়েছেন আট উইকেট।

মুশফিকুর রহিম: মাহমুদউল্লাহর মতোই অভিজ্ঞ মুশফিক। আসরে কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই তারও। তবে আগের ছয়টি আসরে মুশিকে উইকেটের সামনে এবং পেছনে দেখা গেলেও এবার তিনি খেলছেন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে। এই সংস্করণের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ২৭ ম্যাচে (২২ ইনিংস) ৩০২ রান করেছেন মুশফিক। তার স্ট্রাইক রেট ১০৪.৬০। এ ছাড়া গ্লাভস হাতে ১৯টি ডিসমিসাল আছে মুশির।

ক্রিস গেইল

ক্রিস গেইল: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধিকাংশ ব্যাটিং রেকর্ডই গেইলের দখলে। আসরে দুটি সেঞ্চুরি আছে তার। হাফসেঞ্চুরি নয়টি। গেইলের উল্লেখযোগ্য রেকর্ড হচ্ছে দ্রুততম সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ছক্কা ইত্যাদি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই ব্যাটিং দৈত্যের সেঞ্চুরি মোট ২২টি।ছয় আসরে 'ইউনিভার্স বসে'র রান ৯২০ (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান)। তার ব্যাটিং হড় ৪০ এবং স্ট্রাইকরেট ১৪৬.৭৩। উইন্ডিজের দুটি বিশ্বকাপ জয়েই অবদান আছে গেইলের।

শোয়েব মালিক

শোয়েব মালিক: এবারের বিশ্বকাপে তার খেলারই কথা ছিল না। কিন্তু নাটকীয়ভাবে শেষ সময়ে চূড়ান্ত দলে ঢুকে পড়েন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। শোয়েব মাকসুদের ইনজুরি খুলে দেয় তার বিশ্বকাপ দুয়ার। ৩৯ বছর বয়সী মালিক ২০০৯ সালে পাকিস্তানের ট্রফি জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। দেশের হয়ে এ পর্যন্ত ১১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই হাজার ৩৩৫ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া ২৮টি উইকেট আছে তার ঝুলিতে।