মরগানের মুখে সাকিব স্তুতি

আগের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং ঘাটতি ভালোভাবেই চোখে পড়েছে। পার্ট টাইম বোলারের হাতে তৃতীয়বার তুলে দেওয়া হয় বল। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার সাকিব আল হাসান একাদশে ফিরতেই বদলে গেল কলকাতার বোলিংয়ের চেহারা। সানরাইজার্স হায়দরবাদকে অল্পতেই গুটিয়ে দিয়ে দল তুলে নিয়েছে ছয় উইকেটের দারুণ।

সাকিবকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে এসেছেন মরগান

বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে ১২০ রানও করতে পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ১১৫ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরবাদ। যদিও মামুলি এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কলকাতাকে যেতে হয়েছে ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইয়ন মরগানের দল। এই জয়ে প্লে-অফের আশা বেঁচে থাকল কলকাতার।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হওয়ার কথা ছিল কলকাতার কোনো বোলারের। হায়দরাবাদকে অল্পতে বেঁধে ফেলতে বোলারদের অবদান মূখ্য। কিন্তু মন্থর উইকেটে ৫১ বলে ৫৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কলকাতা ওপেনার শুভমান গিল। তবে জয়ের ভিতটা যে বোলাররা গড়ে দিয়েছেন সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এক্ষেত্রে কেউ একক নায়ক নন।

ইয়ন মরগান

সাকিব একাদশে ফেরার ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছে কলকাতার পুরো বোলিং ইউনিট। আগের ম্যাচে বেধড়ক মার খাওয়া বোলাররা গতকাল রোববার থাকলেন যথেষ্ট মিতব্যয়ী। চার ওভারে কুড়ি রানের বিনিময়ে সাকিব তুলে নিয়েছেন এক উইকেট। শেষ ওভারে ১০ রান না দিলে তার বোলিং ফিগার আরো উজ্জ্বল হতে পারতো। টিম সাউদি, শিভাম মাভি ও বরুণ চক্রবর্তী সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

বোলারদের মধ্যে কেবল উইকেট পাননি সুনিল নারাইন। কিন্তু ক্যারিবীয় স্পিনার ভালোই চেপে ধরেছিলেন অরেঞ্জ আর্মিদের। চার ওভারে ১২ রান দিয়ে হায়দরাবাদের রানের গতিকে স্লথ করে দেন। সবমিলিয়ে কলকাতার বোলারদের জন্য দারুণ একটা দিন এটা। বোলারদের পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি কলকাতা অধিনায়ক মরগান। সতীর্থদের জন্য প্রশংসার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন ইংলিশ তারকা।

শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সরাসরি থ্রোতে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার রান আউট করেন কেন উইলিয়ামসনকে। ম্যাচ শেষে তাই সাকিবের অবদান তুলে ধরলেন কলকাতা অধিনায়ক। মরগান বলছেন, ‘সাকিবের মতো বিশাল অভিজ্ঞ ক্রিকেট যোদ্ধার অংশগ্রহণ আজকের ম্যাচে বিরাট প্রভাব রেখেছে আমাদের জন্য। ও দুর্দান্ত ছিল।’

এবারের আইপিএলে আরব আমিরাত অংশে ম্যাচের পর ম্যাচ উপেক্ষিত থাকার পর রোববার রাতে একাদশে ফিরেছেন সাকিব। মাঠে ফিরেই সাকিব বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের মূল্য। অধিনায়কের কাছ থেকে প্রাপ্য প্রশংসাও পেয়েছেন। যা হয়তো সাকিবকে আরো ভালো পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করবে।

কেকেআরের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হতে পারেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।