রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি ফেব্রুয়ারিতে

সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থিত রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই হবে আগামী মাসে। ভারত হেভি ইলেকট্রিক লিমিটেড (ভেল) নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নির্বাচিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার হোসেন, তিনি বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)-এর চেয়ারম্যানও। কেন্দ্রটি স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি)  পাস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) গঠিত হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। বিদ্যুৎকেন্ত্রটি প্রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। যা নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার (১২ হাজার কোটি টাকা)। উল্লেখিত বাজেটের শতকরা ৩০ ভাগ বিনিয়োগ করবে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আর অবশিষ্ট ৭০ ভাগ ঋণ নেয়া হবে। তবে এই ঋণ নেয়ার কাজটি শর্ত অনুযায়ি করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের স্মারক।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দামের বিপরীতে স্থানীয় উন্নয়নের জন্য ৩ পয়সা করে জমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইএফপিসিএল। এতে প্রতি বছর আয় হবে  প্রায় ২৭ কোটি টাকা। যা স্থানীয় উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। বিদ্যুৎ সচিব এবং বিআইএফপিসিএল-এর চেয়্যারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তির বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আমরা আশাবাদী আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

প্রকল্পটির জন্য নির্মাণ ঠিকাদার ঠিক করা হলেও এখন পর্যন্ত এই কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার উৎস, কয়লা আনার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিশ্চিত হয়নি। সূত্র জানায়, রামপালের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা লাগবে।

পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র । আইনে আছে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। প্রকল্পের অনুমোদন শুরু হওয়ার সময় থেকেই বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন রামপালের বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে সুন্দরবন ধ্বংসের কারণ হতে পারে বলে বিরোধিতা ও আন্দোলন করে আসছে। তবে এ বিষয়ে সরকার বলছে, গবেষকদের পরামর্শ নিয়ে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সুন্দরবন ধ্বংসের প্রশ্নই আসে না।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সমন টানানো হলো খালেদার গেটে

অবৈধ ভিওআইপি রোধে বন্ধ করা হয়েছে ১১ লাখ সিম!

ফেব্রুয়ারি মাসেই ৩৭তম বিসিএস-এর সার্কুলার