রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানের ২৫ দিন: ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানের ২৫ দিন পূর্ণ হয়েছে। রোববার গণঅবস্থানকারীরা চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছেন।

ছবি - সংগৃহীত

গণঅবস্থান থেকে বক্তারা বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ফ্যাসিবাদ বিলোপের গণসংগ্রামের নতুন ফ্রন্ট। তারা এ আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

রোববার গণঅবস্থানে ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবির পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়। পরে টানা আট দিনের ধারাবাহিকতায় গণইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতার পাশাপাশি রিকশাচালক, টোকাইসহ সাধারণ পথচারী রোজাদাররা অংশ নেন।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সকল অপরাধের বিচার করতে হবে। চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ফ্যাসিবাদ বিলোপে গণসংগ্রামের নতুন ফ্রন্ট বলে তিনি মনে করেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ছাত্রীদের ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ হিসেবে রাজু ভাস্কর্যকে ঘোষণা করাকে স্বাগত জানান।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই গণহত্যার বিচারসহ ফ্যাসিবাদী আমলের ধর্ষণের বিচারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে পুরনো অপরাধীরা দায়মুক্তি ভোগ করছে। নতুন করে হত্যা ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এসবের অবসানে সরকারকে ফ্যাসিবাদ বিলোপের পাশাপাশি নতুন অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

গণঅবস্থানে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।