নারী নির্যাতনে জিরো টলারেন্স: আইন সংশোধনের উদ্যোগ

নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণ মামলার তদন্তের সময়সীমা ১৫ দিন এবং বিচারের জন্য ৯০ দিন নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন না হলেও জামিন দেওয়া যাবে না। এর আগে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিনের সুযোগ ছিল।

ছবি - সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর প্রতি যে সহিংসতা, নির্যাতন ও ধর্ষণ চলছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব মামলার সুষ্ঠু ও দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যৌন হয়রানি বন্ধে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।’

ড. নজরুল জানান, ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা যাবে না। বিচারে গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান আইনে সংযোজন করা হবে। দ্রুত বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনে শুধুমাত্র মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত ও বিচার করা যাবে। সরকার প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়নের প্রতিকার নিশ্চিত করতে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা টোল ফ্রি হটলাইন চালু করা হবে। ধর্ষণ মামলা তদন্তের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা হবে।

আইন সংশোধনের খসড়া সপ্তাহখানেকের মধ্যে তৈরি করা হবে। জনগণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের দাবির প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আইনগতভাবে তা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গণমাধ্যমে সঠিকভাবে উপস্থাপনের বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।