অথচ তাকে বলা হয় ‘টেস্ট বোলার’

গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে অভিষেক হয় মোহম্মদ শহিদের। ওই ম্যাচে তিনি ১৯ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে এক উইকেট পান। সাদামাটা এক অভিষেকই হয় তার। পরের ম্যাচে দলের একমাত্র পেসার হিসেবে ঢাকায় খেলতে নামেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে পান চার উইকেট। এরপর আরো তিনটি টেস্ট খেললেও উইকেট আর বাড়েনি। ‘টেস্ট বোলারের’ তকমা গায়ে লেগে যাওয়া শহিদ সুযোগ পাননি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি দলে। এই ‘টেস্ট বোলার’ই বিপিএলে দেখাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি ঝলক।

বৃহস্পতিবার শহিদের দল সিলেট সুপার স্টারস খেলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। ছয় রানে ম্যাচটি হেরে যায় তার দল। এটি ছিলো সিলেটের টানা তৃতীয় হার। দল হারলেও বল হাতে সফল শহিদ। তিন ম্যাচে নিয়েছেন ছয় উইকেট। রংপুরের বিপক্ষেই নিয়েছেন চারটি।

রংপুরের বিপক্ষে শহিদের নেয়া চার উইকেটের মধ্যে আছেন সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের মতো তারকারাও। বোলার হিসেবে শহিদের পরিণত হওয়ার প্রমাণই যেনো এই পারফর্ম। বল হাতে প্রতিনিয়তই ভালো করতে থাকা শহিদ কখনোই তেমন কোনো আলোচনায় ছিলেন না।

তুমুল প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মিছিলে শহিদ আসলে অন্য স্রোতে। তার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে আসা যতোটা না প্রতিভার জোরে, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের জোরে। শহিদের সবচেয়ে শক্তির দিক হলো, তার ফিটনেস। শারীরিক সামর্থ্যের কারণেই সময়ের অন্যদের চেয়ে এগিয়ে তিনি।

তাসকিন, রুবেল এবং শফিউলদের ইনজুরিজর্জরতার বিপরীতে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি দল দারুণ বিকল্প হতে পারেন শহিদ। এই দাবিটা অবশ্য এখনই করা যাচ্ছে না। তবে চলমান বিপিএলে সংক্ষিপ্ত পরিসরের ক্রিকেটে শহিদ যদি নিজের সামর্থ্যটা আরো যৌক্তিকভাবে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে জাতীয় দলের রঙিন জার্সিটাও উঠতে তার গায়ে। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

জরিমানা গুনতে হতে পারে সাকিবকে

টানা তিন হারে ছন্নছাড়া সিলেট

বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ড ডে-নাইট টেস্ট?

আইসিসির কাছ থেকে এক কোটি ডলার পাচ্ছে বিসিবি