সহসাই ফেরা হচ্ছে না মোস্তাফিজ-তাসকিনের
- Details
- by খেলাধুলা প্রতিবেদক
অদক্ষ পেস বিভাগ নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। ফলাফল যা হয়েছে, সাকিব-তামিমরা তা কেবল ভুলেই যেতে পারেন। পেস বোলিংয়ের এই রুগ্নদশা শিগগিরই কাটার সম্ভাবনা কম। কারণ গত তিন বছরে যে পেস আক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশ দল অসাধারণ কিছু সাফল্য পেয়েছে, সেই আক্রমণের অন্যতম প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের সহসাই খেলায় ফেরা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ দলের পরবর্তী গন্তব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে প্রথমে দুটি টেস্ট খেলবেন সাকিব আল হাসানরা। এই দুই টেস্টের কোনোটিতে মোস্তাফিজ বা তাসকিন দেখা যাবে না। এটি মোটামুটি নিশ্চিত। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী জানালেন, সহসাই ফেরা হচ্ছে না দুই পেসারের।
মোস্তাফিজের বিষয়ে দেবাশীস বলেন, ‘মোস্তাফিজের পায়ে সূক্ষ্ম একটা চিড় ধরা পড়েছে। ধরনের সূক্ষ্ম চিড়ের জন্য আমরা সাধারণত ২১ দিন কোনো ধরনের ওজন না নেয়ার পরামর্শ দেই। পায়ে ওজন যাতে ওজন না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দেই। কিন্তু মোস্তাফিজ চোটাক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে কোনো বিশ্রাম নিতে পারেনি। ফলে ও ২০ তারিখে (মে মাসের) চোট পেলেও, আমরা দিন গুনছি ২৫-২৬ তারিখ থেকে। সে হিসেবে ১৫ তারিখ পর্যন্ত শরীরের ওজন পায়ে পড়ে না, এ ধরনের অনুশীলন ওকে করতে বলেছি। ঈদের পরে আমরা তাকে সামান্য ওজন নেয়ার অনুশীলন দিবো। কোনো রকম সমস্যা ছাড়া সেগুলো করতে পারলে ওকে রানিং শুরু করবে।’
দেবাশীস জানালেন, মোস্তাফিজের বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন এই লম্বা প্রক্রিয়া শেষে। তবে শুরুতেই পুরো শক্তিতে বোলিং করতে পারবেন না তিনি। বিসিবির চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি যে, ওর বোলিং করতে ঈদের পরও অন্তত এক সপ্তাহ লেগে যাবে। এরপরও সব কিছু নির্ভর করছে ওর উন্নতির উপর। ওর যদি কোনো ব্যথা অনুভূত না হয়, তাহলে বোলিংয়ে ওর চাপটা বাড়াবো। আমরা আশা করছি, শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের যে খেলা আছে, সেখানে ওকে যুক্ত করার চেষ্টা করবো। দুই তিনটা ম্যাচ কোনো ব্যথা ছাড়া খেলতে পারলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে। এটা হলো আমাদের পুনর্বাসন পরিকল্পনা। বাকিটা নির্ভর করছে ওর উন্নতির উপর।’
মোস্তাফিজ এই চোট বাধান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। সেখান থেকে চোট নিয়েই ফেরেন তিনি। এই চোটের কথা দেশে ফেরার পর বিসিবিকে জানাননি মোস্তাফিজ। উল্টো তিনি জাতীয় দলের অনুশীলন ম্যাচ খেলেন। ফলে তার চোটের মাত্রাটা যায় আরো বেড়ে।
মোস্তাফিজের আগে চোটে পড়েন তাসকিন আহমেদ। যে চোটের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনি খেলতে পারেননি। তার খেলা হচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও। তার পিঠের ব্যথা সারানোর জন্য আপাতত ইনজেকশন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন বিসিবির চিকিৎসক।
তিনি বলেন, ‘তাসকিনকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। ইনজেকশনের ফলে পিঠে আপাতত কোনো ব্যথা নেই। এটা নিয়ে আমরা খুশি। কিন্তু কথা হচ্ছে এটা কতোদিন স্থায়ী হবে। কারণ এ ধরনের ইনজেকশন কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা নয়। এটা একটা সাময়িক চিকিৎসা। এর কার্যকরিতা কতোদিন থাকবে, তা নিশ্চিত নয়। আমরা আশা করি এ ধরনের ইনজেকশন ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কাজ করে। কিন্তু এর আগেও এর কার্যকরিতা শেষ হয়ে যেতে পারে। কারণ ও যেহেতু অনেক অস্বাভাবিক নড়চড়া করবে, যেহেতু বোলিং করবে। এ জন্য দেখা যায়, ইনজেকশন ঠিক মতো কাজ করে না। ওর ব্যাপারেও আমাদের পরিকল্পনা একই রকম। ধীরে ধীরে তার বোলিং চাপ বাড়ানো হবে। মোস্তাফিজের চেয়ে তাসকিনের প্রস্তুত হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগবে।’
বিসিবির চিকিৎসক জানান, পেসারদের এ ধরনের সমস্যা থাকবেই। কিন্তু সমস্যায় পড়লেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া সব সময় ঠিক হয় না। এ সব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের বিকল্প চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যথাযুক্ত দিন কমিয়ে ব্যথামুক্ত দিনগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করাই সঠিন সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.