যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তির পথনকশা স্বাক্ষরিত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবশেষে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তির রূপরেখা স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ কবে কখন এই সমঝোতা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে খনিজ চুক্তির রূপরেখা স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্মারকলিপিটি ‘অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি’র পথ প্রশস্ত করবে।

এক এক্স পোস্টে ইউলিয়া জানিয়েছেন, চূড়ান্ত চুক্তিতে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মার্কিন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।

চুক্তিটি এমন একটি পদক্ষেপ যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, সেইসঙ্গে তেল ও গ্যাসে প্রবেশাধিকার দেবে।

চুক্তির মূল শর্ত হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার কথা বলে আসছিলেন।

তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রকাশ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনায় আলোচনা সাময়িকভাবে ব্যর্থ হয়ে যায়।

এক্স পোস্টে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া বলেন, আমাদের আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত, যা একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করবে।

বিশদ বিবরণ না দিলেও তিনি পোস্টে তার এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের স্বাক্ষরের ছবি প্রকাশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বেসেন্টের সঙ্গে একটি অনলাইন কলের মাধ্যমে স্বাক্ষরটি সম্পন্ন হয়েছে।

অবশ্য বেসেন্ট বলেছেন, এটি মূলত আমরা আগেই এ বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। যখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে এসেছিলেন, তখন এই সমঝোতা স্মারক ছিল। আমরা সরাসরি বড় চুক্তিতে যেতে চেয়েছিলাম। আমি মনে করি একটি ৮০ পৃষ্ঠার চুক্তি এবং আমরা শিগগিরই তাতে স্বাক্ষর করব।

ইতালীয় নেতা জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় মার্কিন প্র্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও চুক্তিটির ইঙ্গিত দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, আমাদের একটি খনিজ চুক্তি আছে যা আমার ধারণা বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হতে চলেছে... আগামী বৃহস্পতিবার। এবং আমি ধরে নিচ্ছি তারা চুক্তিটি মেনে চলবে।

তবে চুক্তির সময় এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অনুরোধের জবাব দেয়নি হোয়াইট হাউস।