ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ১৬ জুলাই, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তালের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও গ্যাব্রিয়েল আত্তাল

ফরাসি সরকার মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি আজ এটি গ্রহণ করেছেন। তবে নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। 

৭ জুলাই ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিজ দলের বিপর্যয়ের পর ৮ জুলাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন আত্তাল। এলিসি প্যালেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রচারমাধ্যম বিএফএমটিভিকে জানিয়েছে, দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তাকে তার দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছিলেন ম্যাক্রোঁ।  

ফ্রান্সের নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) জয়ী হয়েছে। সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তারা সবচেয়ে বেশি আসন পাচ্ছে। এনএফপি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইতোমধ্যেই একজন প্রার্থীর খোঁজ শুরু করেছে।  

এদিকে আত্তালের পদত্যাগপত্র গ্রহণে দেরি করায় ম্যাক্রোঁর কঠোর সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এর ফলে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এনএফপি ১৮০টির বেশি আসন পেয়েছে। ম্যাক্রোঁ সমর্থিত মধ্যপন্থী জোট, টুগেদার ফর দ্য রিপাবলিক ১৬০ টিরও বেশি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অপরদিকে মারিন ল্য পেনের কট্টর ডানপন্থী আরএন ১৪০ টির বেশি আসন পেয়েছে।

ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসন সংখ্যা ৫৭৭টি। তবে তিনটি দলের কোনোটিই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার জন্য ২৮৯টি আসন পায়নি।

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মারিন ল্য পেনের দলের কাছে পরাজয়ের পর ৯ জুন পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। এরপর ৩০ জুন প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি