মস্কো: যুদ্ধবিরতি কেবল কিয়েভকে বিশ্রাম দেবে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এতে কেবল কিয়েভ বাহিনী বিশ্রাম পাবে বলে মস্কো ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ করতে শান্তি চুক্তির প্রচেষ্টা পশ্চিমা সমর্থিত কিয়েভের পরাজয়ের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক অগ্রগতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টা পশ্চিমা সমর্থিত কিয়েভের পরাজয়ের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বুধবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং রাশিয়া এটি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়।

ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউসে আশা প্রকাশ করেন, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হবে। ইউক্রেনও প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে।

পুতিনের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক মুখপাত্র ইউরি উশাকভ ওয়াল্টজের সঙ্গে বুধবার কথা বলেন এবং রাশিয়ার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য সাময়িক বিরতি ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, যা আমাদের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভান করার কোনো পদক্ষেপ কারও দরকার নেই।’

ক্রেমলিনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি মস্কোকে শান্তি আলোচনায় শক্ত অবস্থানে রেখেছে বলে পুতিন মনে করেন।

ট্রাম্প কিভাবে এসব সমাধান করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি বুধবার বলেন, রক্তপাত বন্ধে মস্কো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে বলে আশা করছেন। কারণ ‘আমি এমন কিছু করতে পারি যা রাশিয়ার জন্য খুব খারাপ হতে পারে। আমি সেটা করতে চাই না কারণ আমি শান্তি চাই। তবে আর্থিকভাবে আমরা রাশিয়ার জন্য খুব খারাপ কিছু করতে পারি।’

যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। ক্রেমলিনের দাবি, তাদের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞাই অবৈধ এবং সেগুলো প্রত্যাহার করা উচিত।