সেই ‘বাজবল’ দিয়েই ফিরল ইংল্যান্ড

হারলে কিংবা ড্র করলে সিরিজ জয়ের আশা শেষ হয়ে যেত। লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্টে এর কোনোটার মুখোমুখি হতে হয়নি স্বাগতিকদের। ‘বাজবল’ তত্ত্বে খেলেই সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বেন স্টোকসের দল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১-এ ফিরল ইংল্যান্ড।

জয়ের পর মাঠ ছাড়ছেন ক্রিস ওকস ও মার্ক উড

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ‘বাজবল’ তত্ত্ব নিয়ে ভালোই কথা শুনতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে ইংলিশদের। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে অনেকেই তাই অপেক্ষায় ছিলেন, ইংল্যান্ড কী তাদের পুরোনো রূপে ফিরে যাবে, নাকি স্টোকস-ম্যাককালাম জুটির আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে। দ্বিতীয়টাই করল ইংল্যান্ড। আড়াইশ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিতেছে তাদের স্টাইলে। ৫০ ওভারে ২৫১ রান তাড়া করে জিতে জানান দিয়েছে ‘বাজবল’ থেকে বেরিয়ে আসছে না স্টোকসরা।

এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ২৬৩ রানের জবাবে একশ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্টোকসের দল। তবুও খোলসে ঢুকে যায়নি ইংল্যান্ড। ওভারপ্রতি সাড়ে চারের ওপর রান তুলে ২৩৭ রানে থামে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস।  

দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকরা ওভার প্রতি ৫ এর ওপরে রান তুলে জিতেছে ঠিকই, অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলেছিল। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭১ রানের মাথায় ৬ উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল প্যাট কামিন্সের দল। সেখান থেকে হ্যারি ব্রুকের অসাধারণ ইনিংসে আবার ম্যাচ চলে যায় ইংলিশদের দখলে।

শেষে এসে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে ব্রুককে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। ৭ উইকেট হারানো ইংলিশদের হয়ে তখন ক্রিজে কেবল স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ছিলেন ক্রিস ওকস। জিততে ইংল্যান্ডের দরকার তখন দরকার ২২ রান, অন্যদিকে জয়ের থেকে তিনটি উইকেট দূরে ছিল সফরকারীরা। যদিও বোলার মার্ক উড এসে সব উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেন একটি করে ছক্কা আর চারের বিনিময়ে। ৮ বলে ১৬ রান করে দারুণ স্টাইলে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন দ্রুত গতির এই পেসার। প্রথম ইনিংসের ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় ব্রুক ছাড়া আর কোনো ইংলিশ ব্যাটার ফিফটির দেখা পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে জ্যাক ক্রাউলির ব্যাট থেকে। এছাড়া বেন ডাকেট ২৩, জো রুট ২১, স্টোকস ১৩ এবং ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন ওকস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক।