বড় হারে আফগান-ওয়াশের মুখে বাংলাদেশ

হতশ্রী বোলিংয়ের পর বাজে ব্যাটিং। দুইয়ে মিলে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ হেরে গেল ১৪২ রানের বিরাট ব্যবধানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে এটাই টাইগারদের সবচেয়ে বড় হার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাহাড়সম লক্ষ্যে বাটিংয়ে নেমে দুশোর আগেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ইবাদত হোসেন চৌধুরী চোটে পড়ায় অলআউট হতে হয়নি টাইগারদের। ৯ উইকেটে ১৪২ রান করেছে তারা।

নাঈম শেখের স্টাম্প ভেঙে উড়ছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি

আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় উইকেটে ৩৩১ রান করে আফগানিস্তান। এই রান তাড়া করতে নেমে বিব্রতকর হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে এটাই আফগানদের সবচেয়ে জয়। তাদের আগের জয়টি ছিল ১৩৬ রানে; ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে। এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে এটাই আফগানদের প্রথম সিরিজ জয়। আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে ধবলধোলাই ঠেকাতে মাঠে নামবেন সাকিব-লিটনরা।

আফগানদের বড় জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদ্রান। তারা যোগ করেন ২৫৬ রান। যা উদ্বোধনী তো বটেই, ওয়ানডেতে যে কোনো জুটিতে আফগানদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জুটি গড়ার পথে দুজনই তুলে নেন শতক। ১২৪ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৫ রান করেন গুরবাজ। ১৩ চার ও আট ছক্কার ইনিংসে তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তার সঙ্গী ইব্রাহিম ১১৯ বলে নয়টি চার ও এক ছক্কায় করেন ১০০ রান।

২৫৬ রানের রেকর্ড জুটি গড়ার পথে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদ্রান

নাজিবুল্লাহ জাদ্রান ১৫ বলে ১০ রান করেন। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন সাকিব। তার সতীর্থরা অন্তত ওভার প্রতি ছয় রান করে খরচ করেছেন। তবে সাকিবের মতো দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। পরে বাজে ব্যাটিংয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হয় দলকে।

বিশাল রান তাড়ায় শুরুতেই ধসে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ২৫ রানে হারাতে হয় তিন উইকেট। পরে নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। আফগানদের দুরন্ত বোলিংয়ের বিপরীতে কিছুটা যা লড়াই করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৬৯ রানে আউট হন তিনি। এ ছাড়া সাকিব ও মিরাজ দুজনই করেন সমান ২৫ রান। আফগানদের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি ও মুজিব উর রহমান। দুটি শিকার রশিদ খানের।