জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উইন্ডিজের বড় ধাক্কা, জিতেছে নেদারল্যান্ডস

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে বড় ধাক্কাই খেলো উইন্ডিজ। উড়তে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরেছে শাই হোপের দল। অন্যদিকে বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলছে নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারানো দলটির সামনে আজ পড়েছিল তুলনামূলক খর্ব শক্তির নেপাল। এশিয়ার দলটিকে উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের শক্ত অবস্থানে বসেছে নেদারল্যান্ডস।

পথের কাটা হয়ে থাকা উইন্ডিজ অলরাউন্ডার রোস্টন চেজকে আউট করে জিম্বাবুয়ের উল্লাস

শনিবার হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৮ রান জমা করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ৩৫ বল বাকি থাকতে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি উঠেছে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজার হাতে।

দলকে ভালো সূচনা এনে দেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেইগ আরভীন। ১৫.৩ ওভারের জুটিতে ওঠে ৬৩ রান। ৫০ বলে ২৬ রান করে আউট হন গাম্বি। এরপর ৪৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে শন উইলিয়ামস দলীয় ১১২ রানের মাথায় আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এর আগে আরভীন আউট হন ৪৭ রান করে। উইলিয়ামস থামেন ২৩ রানে।

বিপদ থেকে দলকে আরও একবার উদ্ধার করেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা রাজা। তার সঙ্গে যোগ দেন রায়ান বার্ল। দুজনের জোড়া ফিফটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। রাজা ৬৮ এবং বার্ল ৫০ রান করে আউট হন। উইন্ডিজের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কিমো পল। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আরজারি জোসেফ ও আকিল হোসেন।

রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা খারাপ করেনি উইন্ডিজ। ওপেনিং জুটি এনে দেয় ৪৩ রান। এরপর জোড়া উইকেট হারিয়ে ম্যাচে প্রথমবার চাপে পড়ে হোপের দল। কাইল মেয়ার্সের একার লড়াইয়ে তবুও জয়ের পথে থাকে উইন্ডিজ। দলীয় ১১০ রানের মাথায় তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে মেয়ার্স আউট হলে আর দাঁড়াতে পারেনি দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

মেয়ার্সের পর আশা জাগানিয়া ইনিংসে খেলেন হোপ, নিকোলাস পুরান ও রোস্টন চেজ। কিন্তু এই ত্রয়ীর একজনও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। আউট হয়েছেন অসময়ে। শেষপর্যন্ত ৩৫ রানের পরাজয় মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেরুন জার্সিধারীদের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন মেয়ার্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আছে চেজের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ব্রেন্ডন কিং ২০, হোপ ৩০, পুরান ৩৪ এবং হোল্ডার ৩৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা। দুটি করে উইকেট গেছে ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও রাজার পকেটে।

ম্যাচজয়ী ইনিংসের পথে ম্যাক্স ওডাউড

দিনের অন্য মাচে নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৩৩ বল বাকি থাকতে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। জবাবে ১৩৭ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস। ৭৫ বলে ৯০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ম্যাক্স ওডাউড।

নেপালের ইনিংসে চল্লিশোর্ধ রান ছাড়াতে পারেননি কোনো ব্যাটার। ক্রিজে থিতু হয়েও আউটি হয়েছেন ব্যাটাররা। শেষপর্যন্ত অধিনায়ক রোহিত পাউডেলের ৩৩ রানই ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ হয়ে থাকে। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন লগান ভন বিক।

রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার ওডাউডের ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় ‍তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাস ডি লিডি করেন ৪১ রান। বিকরম সিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।

এই জয়ে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার নেপাল ও উইন্ডিজকে টপকে দুইয়ে উঠে এলো নেদারল্যান্ডস। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে অবস্থান করছে নেপাল। তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভীনের দলের পয়েন্ট এখন ছয়। সমান ম্যাচ খেলে একটিতে হেরে ৪ পয়েন্ট নিয়ে উইন্ডিজ আছে এই তালিকার তিনে।