ওয়ার্নারের বিপক্ষে ব্রডের ১৫ সাফল্য

অনেকেই হয়ত অপেক্ষায় ছিলেন দৈরথটা দেখার। সে ব্যবস্থা এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই করে দিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্টুয়ার্ট ব্রড বনাম ডেভিড ওয়ার্নার দৈরথ জমে গেল আরও একবার। ইনিংসে দশম ওভারে আউট করে এ নিয়ে টেস্টে  ১৫ বার ওয়ার্নারকে আউট করলেন ইংলিশ পেসার। ব্রডের বিপক্ষে ওয়ার্নারের এই লড়াই শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। ফিরে দেখা যাক ওয়ার্নারের বিপক্ষে ব্রডের পনেরো সাফল্য।

শনিবার এজবাস্টনে ওয়ার্নারকে আরও একবার আউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড

২০১৩-১৪

ডারহাম টেস্ট, ১ম ইনিংস

সেবারই টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ওয়ার্নারের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রড। ডারহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ওয়ার্নারকে আউট করে দিলেন ইংলিশ পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করিয়ে বলটা ভেতরে ঢোকালেন তিনি। বলের লাইন মিস করে অফস্ট্যাম্প হারান ওয়ার্নার। তিন রানে থেমেছিল তার ইনিংসটি। দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১১ উইকেট তুলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ব্রড।

২০১৩-১৪

ব্রিসবেন টেস্ট, ১ম ইনিংস

ব্রসবেন টেস্ট ওয়ার্নারকে আউট করতে খুব একটা ভালো বল করতে হয়নি ব্রডকে। ইনিংসের ৩১তম ওভারে সোজা একটা শর্ট বলকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে কেভিন পিটারসেনের হাতে ধরা পড়েন অজি ওপেনার। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। ওই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার।

ব্রিসবেন টেস্ট, ২য় ইনিংস

দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার। প্রায় ওয়ানডে গতিতে সেঞ্চুরি তুলে ১২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইনিংসে ১৩ চারের বিপরীতে একমাত্র ছক্কাটি ব্রডের বলে হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসের ৫৯ ওভারে অবশেষে সেই ব্রডের কাছেই ধরা পড়েন ওয়ার্নার।

অ্যাডিলেড টেস্ট, ১ম ইনিংস

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডলেডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩২ বলে ২৯ রান করে ব্রডের বলে আউট হন ওয়ার্নার। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য অজি ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রান করে।

সিডনি টেস্ট, ১ম ইনিংস

২০১৩-১৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবারও ওয়ার্নারকে ফেরান ব্রড। ব্যক্তিগত ১৬ রানের মাথায় ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন ডানহাতি পেসার।

২০১৯ সালে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ব্রডের উল্লাস

২০১৯-২০

এজবাস্টন টেস্ট, ১ম ইনিংস

ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টে ওয়ার্নার টিকেছেন কেবল ১৪ বল। ব্যক্তিগত দুই রানের মাথায় তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ব্রড। সেবার নিজের উইকেট হারানোর জন্য মাঠেই রাগে ফেটে পড়েন অজি ওপেনার। অন্যদিকে ইংলিশ পেসারের উদযাপনও ছিল দেখার মতো।

এজবাস্টন টেস্ট, ২য় ইনিংস

৯০ রানে পিছিয়ে পরে দ্বিতীয় ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে হারিয়ে আরও চাপে পড়ে সফরকারীরা। ওয়ার্নারকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় দেননি ব্রড। ব্যক্তিগত ৮ রানে রেখে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন ওয়ার্নার।

লর্ডস টেস্ট, ১ম ইনিংস

২০১৯ সালের অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আরও একবার ব্রডের হাতে ধরা পড়লেন ওয়ার্নার। ৪.২ ওভারে বোল্ড করে দেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে। ওই সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো ওয়ার্নারকে আউট করেন ব্রড।

হেডিংলি টেস্ট, ২য় ইনিংস

হেডিংলিতেও ওয়ার্নারের বিপক্ষে ব্রডের লড়াই অব্যাহত থাকে। এবার নিজের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লিউ আউট করেন সাবেক অজি অধিনায়ককে।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্ট, ১ম ইনিংস ও দ্বিতীয় ইনিংস

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্রডের সামনে আরও অসহায় ছিলেন ওয়ার্নার। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে তালুবন্দি হন ওয়ার্নার। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও সেই ব্রডের শিকার অজি ওপেনার। এবার অবশ্য দুই বল বেশি টিকেছে ওয়ার্নারের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে চার বল খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ছয় বল। টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হন ওয়ার্নার।

ওভাল টেস্ট, ২য় ইনিংস

ওয়ার্নারের সামনে আবার স্টুয়ার্ট ব্রড। আগের টেস্টের বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ওভালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন ওয়ার্নার। বলা ভালো ব্রডের মুখোমুখি হন ওয়ার্নার। ০, ০, ০, ৫ রানের ইনিংসের পর ওয়ার্নার এবার ধরা পড়েন ১১ রানে।

২০২১-২২

সিডনি টেস্ট, ২য় ইনিংস

২০২১-২২ মৌসুমে ব্রডকে ভালোই সামলান ওয়ার্নার। পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ওয়ার্নারের বিপক্ষে সাফল্য পান ব্রড। ১৩ বারের মতো সেবার অজি ওপেনারকে আউট করেন ওয়ার্নার। ৩০ রানে থামে তার ইনিংসটি।

হোবার্ট টেস্ট, ২য় ইনিংস

সিরিজের পঞ্চম টেস্টে টানা ‍দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসে অলি রবিনসের বলে এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্রডের বলে আউট হন ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসে ২২ বল খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে তিন বল খেলে আউট হন তিনি।

২০২৩-২৪

এজবাস্টন টেস্ট, ১ম ইনিংস

২০২৩ সালের অ্যাসেজ সিরিজে এজবাস্টনে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্টে মাঠে নামার আগে সাম্প্রতিক ফর্ম কথা বলছে না ওয়ার্নারের পক্ষে। ইনিংসের ১১তম ওভারে ব্রডের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল কোনো ফুটওয়ার্ক ছাড়াই ড্রাইভ করতে গিয়ে বলটি টেনে আনেন স্ট্যাম্পে। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৫ বারেরমতো ব্রডের বলে আউট হলেন তিনি।