'ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে চায় চীন'

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। ১৪ জুন, বুধবার বেইজিংয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। খবর রয়টার্স।

মাহমুদ আব্বাস ও শি জিনপিং

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি সমস্যার মৌলিক সমাধান হল ১৯৬৭ সালের সীমানার উপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। আর এই রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’

বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আব্বাসকে শি জিনপিং বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায়সঙ্গত কারণকে সবসময় দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছি।’

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে চীনের ঐতিহাসিকভাবে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে আব্বাসের শেষ সফরের পর থেকে চীন ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। গত মার্চ মাসে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে মধ্যস্থতা করেছিল চীন। এরপর থেকেই দেশটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বর্তমানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের সফরে বেইজিংয়ে রয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে তিনি দেশটিতে যান। গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন আব্বাস। অথচ সে সময় মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য তিনি চীনা সমর্থন আশা করেছিলেন।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শি ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য চীনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেইজিং বহুপাক্ষিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে।