জাতীয় ঐকমত্য হলে প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত হামাস

হামাস জানিয়েছে, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তারা গাজা ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ না হতে রাজি আছে। এক বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গাজার ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত যেকোনো ব্যবস্থা অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হতে হবে এবং তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে।

ম্যাপে গাজা উপত্যকার অবস্থান

তিনি আরও বলেন, গাজায় প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হওয়া হামাসের জন্য জরুরি নয়। তাদের এতে কোনো আগ্রহ নেই এবং তারা এসব ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। তবে হামাস এই প্রশাসনিক কাঠামোকে অভ্যন্তরীণ জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে জানিয়েছে, তারা কোনো বহিরাগত শক্তিকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেবে না।

হাজেম কাসেম বলেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে একটি গভীর ও সত্যিকারের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে গাজায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে হামাস এতে বাধা হবে না।

গত ফেব্রুয়ারিতে হাজেম কাসেম বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে হামাস সর্বোচ্চ নমনীয়তা দেখিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য সরকার গঠন এবং গাজা ব্যবস্থাপনায় মিশরের প্রস্তাবিত কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটির প্রস্তাব হামাস পুরোপুরি মেনে নিয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অভিযোগ করছে যে, হামাসকে গাজা থেকে সরিয়ে সেখানে একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হবে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্র গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়ে সেখানে নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের একটি রিভিয়েরা তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই পরিকল্পনাকে ইসরায়েল সমর্থন করলেও হামাস বারবার এর বিরোধিতা করে বলেছে, গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনিদের দ্বারাই পরিচালিত হবে। আরব দেশগুলোও ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি বিরোধী দলনেতা ইয়াইর লাপিদ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশর যদি গাজার প্রশাসন ১৫ বছরের জন্য গ্রহণ করে, তাহলে তার বিনিময়ে মিশরের বৈদেশিক ঋণ মওকুফ করা হবে। তবে মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।