সুদানি জেনারেলদের আলোচনায় বসাচ্ছে কেনিয়া

সুদানে সংকটের অবসান ঘটাতে যুদ্ধরত জেনারেলদের আলোচনায় বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে কেনিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। জিবুতিতে ইন্টারগভার্নমেন্টাল অথরিটি অব ডেভেলপমেন্ট (আইজিএডি) সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই উদ্যোগের কথা প্রকাশ করেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

চাদে আশ্রয় নিয়েছে সুদানিরা

রুটো বলেন, সুদান সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজতে দুই জেনারেলকে আলোচনায় বসাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। দু'সপ্তাহের মধ্যে সুদানে মানবিক সাহায্য বিতরণ সহজ করতে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জিবুতির প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ওমর গুয়েলেহ, দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। আইজিএডি পূর্ব আফ্রিকার আট সদস্যের রাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক ব্লক।

সুদানে চলমান সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বর্তমান সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান, সুদানিস সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) বিশিষ্ট নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো। তিনি আধাসামরিক র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেসেরও (আরএসএফ) প্রধান।

কেনিয়ার মধ্যস্থতার পদক্ষেপটি এমন সময় আসল, যখন সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যপ্তি বেড়েছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘাতে প্রায় ১০০০ জন প্রাণ হারিয়েছে ও আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

আইজিএডি সম্মেলনে বলা হয়েছে, সুদানে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ বৃদ্ধির মূল কারণ পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি চুক্তির বারবার লঙ্ঘন। উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।

২০২১ সালের অক্টোবর থেকে সামরিক বাহিনী প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বরখাস্ত করে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তখন থেকেই সুদান মূলত একটি কার্যকর সরকার ছাড়াই চলছিল। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক নেতারা ‘সেনা অভ্যুত্থান‘ উল্লেখ করে ব্যাপক নিন্দা করেন।

২০১৯ সালের আগস্টে সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই মূলত সংকট শুরু হয়। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংকট শেষ হওয়ার কথা ছিল।