বিহারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, গভর্নরকে অমিত শাহর ফোন

ভারতের বিহার রাজ্যে রামনবমী শোভাযাত্রা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় কমপক্ষে একজন নিহত ও অজ্ঞাতসংখ্যক লোক আহত হয়েছে। লুট হয়েছে বেশকিছু দোকান ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বিহারের গভর্নর রাজেন্দ্র বিশ্বনাথের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খবর পিটিআই, এনডিটিভি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী অমিত শাহ বিহারে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যার্থে আধাসামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত জনবল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় নালন্দা জেলার বিহার শরীফে দুই পক্ষের সহিংসতায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। একই সময় রোহতাস জেলার সামারাম শহরে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন নালন্দা জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনা ‘স্বাভাবিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার

পুলিশ জানিয়েছে, সামারাম শহরের একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি টু-হুইলার উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।

জানা গেছে, রামনবমী শোভাযাত্রা আয়োজনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে দুই জেলায় উত্তেজক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।

নালন্দা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক শুভঙ্কর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাতে বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক আয়োজন চলছে। গুজব ও উসকানিমূলক প্রচারণা ঠেকাতে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ সামারাম সফরের কথা ছিল। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারণে তিনি সফর বাতিল করেছেন। আজ সকালে তিনি পরিস্থিতির খোঁজ নিতে বিহার গভর্নরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, রামনবমী উৎসবকে ঘিরে সাসারাম ও বিহার শরীফে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনা উদ্বেগজনক। এ এলাকায় অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এটা স্বাভাবিক নয়। আমরা পুলিশকে দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি।