যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো: নিহত ২২, ধ্বংসস্তূপ ৪০ কিমি এলাকা

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো আঘাত হেনেই চলেছে। কয়েকদিন আগে মিসিসিপির প্রলয়ংকরী ঝড়ে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয় দেশটি। ঝড়ে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ইলিনয়ের একজন কর্মকর্তা। এতে দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২১ জনে দাঁড়ালো। ঝড়ে ইন্ডিয়ানাপলিসে ৪০ কিলোমিটার এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি এলাকা

ক্রফোর্ড কাউন্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিল বার্ক বলেছেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। মৃত্যুর খবর এসেছে আলাবামা, মিসিসিপি ও আরকানসাস থেকে। টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১০০ এরও বেশি ভবন।

টেনেসির মেমফিস থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে উইনে বাস করে প্রায় ৮ হাজার লোকের একটি সম্প্রদায়। বাসিন্দারা শনিবার ঘুম থেকে উঠে দেখেন, স্কুলের ছাদ ভেঙে গেছে। জানালাগুলো উড়ে গেছে। বিশাল গাছগুলো মাটিতে পড়ে আছে। চারদিকে দেখা যায় ভাঙা দেয়াল, জানালা, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

একটি সেলুনের মালিক হেইডি জেনকিন্স বলেন, তার শহরে এত বড় আঘাত আসবে তিনি ভাবতে পারেননি। স্কুল ও গির্জা ধ্বংস হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে অনেক মানুষ।

এক ভিডিওতে দেখা গেছে, টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।

শ্রমিকরা চেইন করাত ব্যবহার করে পড়ে যাওয়া গাছ কেটে ও বুলডোজার দিয়ে ভাঙা কাঠামো সরিয়ে ফেলছে। পরিষেবা ট্রাকগুলো বিদ্যুৎলাইন ঠিক করার জন্য কাজ শুরু করেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্য করার জন্য দলে দলে যাত্রা করছে।

অ্যাডামসভিলের মেয়র ডেভিড লেকনার বলেছেন, মিসিসিপি সীমান্তে মেমফিসের পূর্বে টেনেসির ম্যাকনেরি কাউন্টিতে অন্তত সাতজন মারা গেছেন। বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি বাড়িঘর এবং আবাসিক এলাকায় হয়েছে। তবে লেকনার বলেন, এলাকাবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানেনি।

ইলিনয়ের অ্যাপোলো থিয়েটারে একটি হেভি মেটাল কনসার্টে টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে ২৬০ জন জড়ো হয়েছিলেন। ছাদ ধসে ৫০ বছর বয়সী একজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।