স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের শোকরানা নামাজ

সরকারি বাসভবনে পৌঁছেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শোকরানা নামাজ আদায় করলেন স্কটল্যান্ডের নতুন ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ। বাবা ও ভাইদের নিয়ে জামাতে ইমামতি করলেন নিজেই। ফার্স্ট মিনিস্টারের সরকারি বাসভবন বিউট হাউসের ২১৮ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শোকরানা নামাজ আদায় করেন হামজা ইউসুফ

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতৃত্বের লড়াইয়ে জয়ের একদিনের মাথায় গতকাল আরেক দফা ভোটের মুখোমুখি হন হামজা ইউসুফ। নিজ দল এসএনপির পাশাপাশি গ্রিন পার্টির এমপিদের ভোটে সহজেই ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এ রাজনীতিক।

নির্বাচিত হবার পর গতকাল রাতেই ফার্স্ট মিনিস্টারের সরকারি বাসভবন বিউট হাউসে পৌঁছেন ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ। এডিনবরার শার্লট স্কোয়ারে নিউ ক্লাসিক্যাল স্থাপত্য ঘরানার ভবনটিতে প্রবেশের পর সবার আগে হলরুমে দাঁড়িয়ে শোকরানা নামাজ আদায় করেন তিনি। পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে নামাজে যোগ দেন।

নতুন ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে হামজা ইউসুফের নাম এরইমধ্যে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট হলিরুড থেকে যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এডিনবরার কোর্ট অব সেশনে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার নেবেন হামজা।

স্কটিশ এমপিদের উদ্দেশে বক্তৃতায় হামজা ইউসুফ বলেছেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি কখনো দেশের সামনে আসা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো মোকাবেলা করতে পিছপা হবেন না। তিনি বলেন, আমি এমন সরকারের নেতৃত্ব দেবো যারা মানুষের কথা ধৈর্য নিয়ে শোনে এবং সব এমপির মতামতকে গুরুত্ব দেয়। আমরা সবাই স্কটল্যান্ডের জন্য সেরাটা চাই। আমি প্রতিটি দিনের প্রতিটি ঘণ্টা স্কটল্যান্ডের প্রতিটি মানুষের সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে কাজ করব।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অভিবাসী এক পাকিস্তানি পরিবারে হামজা ইউসুফের জন্ম। ১৯৬০ সালে পাঞ্জাবের মিয়া চানু জেলার খানেওয়াল তহসিল থেকে পরিবারটি স্কটল্যান্ডে স্থানান্তর হয়। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে আগ্রহী হামজা ইউসুফ গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালে তিনি প্রথমবারের মতো স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। নিকোলা স্টারজনের নেতৃত্বাধীন এসএনপি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।