আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ার পাচ্ছে নরওয়ে, মস্কোর চাপ!

মস্কো নেতৃত্বাধীন আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরিকল্পনা করছে নরওয়ে। আগামী ১১ মে রাশিয়ার কাছ থেকে দেশটি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল মস্কোর চাপে রয়েছে বলে আর্কটিক টুডের এক খবরে বলা হচ্ছে। তবে নরওয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে নেতৃত্বের মসৃণ হস্তান্তর প্রত্যাশা করছে।

রাশিয়ার হাত থেকে আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ার যাবে নরওয়ের হাতে

নরওয়ে এমন সময় কাউন্সিলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রয়েছে। মস্কো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার চাপের মুখে রয়েছে। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, নরওয়ে আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ার পদ গ্রহণ না করা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে চাইছে না, বরং দেশটি মস্কোর সাথে সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। তবে এর মানে এই নয় যে, কাউন্সিলের সদস্যদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে কাজ করবে দেশটি।

নরওয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিন্ড ভাদ পিটারসন রয়টার্সকে বলেন, নরওয়ে চেয়ারের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এজন্য তারা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তবে মন্ত্রী পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সম্ভব না বলে রাশিয়াকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী পর্যায়ে বৈঠক হতে পারে।

কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাশিয়ান আর্কটিক রাষ্ট্রদূত নিকোলে কোরচুনভ রয়টার্সকে বলেন, দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলের সব দেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে বলে তিনি মনে করেন। তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নরওয়ে কিছু জানায়নি।

আর্কটিক কাউন্সিল ১৯৯৬ সালে গঠিত হয় মেরু অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে। কাউন্সিসের আট সদস্য হলো- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, সুইডেন এবং ডেনমার্ক। চীন এবং ভারতসহ আরও কিছু দেশ কাউন্সিলের কার্যক্রমের পর্যবেক্ষক হিসেবে আছে।

যুদ্ধ শুরুর পরই অন্য সাতটি আর্কটিক দেশ মস্কোর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। আটকে যায় কাউন্সিলের ১৩০টি প্রকল্পের এক তৃতীয়াংশ, কারণ এসব প্রকল্পে রাশিয়া জড়িত। এই পদক্ষেপকে রাশিয়া দুঃখজনক বলে অভিহিত করে।