চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধিপত্য চাইছে চীন!

২০১৫ সালে প্রথম ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব‘ এর ধারণাটির জন্ম হয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে এই ধারণা উদ্ভূত হয়েছিল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মূলত বিজ্ঞান, ডেটা ও প্রযুক্তির বিপ্লবকেই বোঝায়। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এই শিল্প বিপ্লবকে দলীয় এজেন্ডা হিসেবে সামনে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট ডেভিড গোল্ডম্যানের মতে, চীন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। দ্য ইপোক টাইমস।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে এগিয়ে চীন

চীনা নেতা শি জিনপিং ২০১৮ সালে একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, ১৮ শতকের প্রথম শিল্প বিপ্লবের যান্ত্রিকীকরণ, ১৯ শতকের দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের বিদ্যুতায়ন এবং ২০ শতকের তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের তথ্যায়ন পর্যন্ত প্রতিটি রাউন্ডে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে।

চীনা প্রেসিডেন্টের মতে, পরবর্তী দশকটি মূলত নির্ধারণ করবে কে পরবর্তী শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে। আগামী দশ বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ দশক হবে। প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং শিল্প পরিবর্তনের একটি নতুন রাউন্ড বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, কোয়ান্টাম তথ্য এবং বায়োটেকনোলজি।

গোল্ডম্যান চীনা মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শি জিনপিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় তাই চিত্রিত হয়। চীন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতা হতে চায়। দেশটি তথ্যপ্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল ভিডিও স্ট্রিম করা বা গেম খেলায় চীন ব্যবহার করছেন না, বরং গাড়ি চালানো, মালবাহী জাহাজ আনলোড করা, কারখানা চালানো ইত্যাদি অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে দেশটি।

তিনি মনে করেন, যদি চীন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রভাবশালী অর্থনৈতিক শক্তির অধিকারী চীনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে। সেক্ষেত্রে আমেরিকা দরিদ্রতার পথে হাঁটবে। মার্কিন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ম্লান হয়ে যাবে।

তার মতে, মাইক্রোচিপ তৈরির ক্ষেত্রে চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রকৃত সেমিকন্ডাক্টরগুলোর উৎপাদনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং স্টোরেজ করে, চীন তা থেকে ১০-২০ বছর পিছিয়ে আছে। তবে যে অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে চিপ প্রয়োগ করা হয়, সেক্ষেত্রে চীন অনেক বেশি উন্নত।