পাকিস্তানকে নিয়ে উভয় সংকটে আইএমএফ

পাকিস্তানে টেকসই ঋণ কার্যক্রমের বিষয়টি নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ফলে সংস্থাটির এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর নির্বাহী পরিচালকদের কাছে ঋণ আলোচনার পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা কঠিন হবে বলে ইসলাম খবর জানিয়েছে।

আইএমএফের কাছ থেকে ২০১৯ সালে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে তখনকার ইমরান খান সরকার

আরেকটি বিষয় হলো, পরবর্তী অর্থছাড়ের আগে অবশ্যই পাকিস্তানের পূরণ না হওয়া শর্তগুলোর সমাধান করা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেটি করা না গেলে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

আইএমএফের কাছ থেকে ২০১৯ সালে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে তখনকার ইমরান খান সরকার। আইএমএফ তখন প্রাথমিক সম্মতিও দেয়। কিন্তু মহামারির মধ্যে ওই ঋণের বিষয়টি আটকে যায়। এর মধ্যে পাকিস্তানে সরকারে বদল আসে।

মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবার ঋণ আলোচনা শুরু হলেও পাকিস্তান সরকার প্রাক শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়টি আটকে আছে।

সময়মত চুক্তি হলে ওই সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল আইএমএফের। কিন্তু ঋণ পেতে স্টাফ লেভেল চুক্তি না হওয়ায় আটকে আছে সেই ঋণ। এখন আইএমএফের বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো পূরণের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কর, জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সুদহার বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক চড়াই-উতরাইয়ের মুখোমুখি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের জন্য এটি কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির ভাগ্যও নির্ধারণ করবে এর মাধ্যমে। অন্যদিকে আইএমএফ মনে করে, দেশটির বর্তমান সরকার তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতেও পারে, আবার নাও পারে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন চুক্তি স্থগিত হওয়ার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের মতে, পাকিস্তান আইএমএফের সবচেয়ে কঠোর শর্ত পূরণ করেছে, যার ফলে জনঅসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থার ফলে সামনের দিনগুলোতে ‘মেহনতি পাকিস্তানিদের’ বোঝা আরও বাড়বে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন। আইএমএফের অর্থ এখনও নাগালের বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।