পাকিস্তান আইএসপিআরের দাবি: ট্রেনে হামলার ঘটনায় সব সন্ত্রাসী নিহত

বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে সন্ত্রাসী হামলায় ২১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, অভিযান শুরুর আগেই এই যাত্রীরা নিহত হন। পরবর্তীতে সেনা অভিযানে ৩৩ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত এবং চারজন সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন।

জাফর এক্সপ্রেস ও আইএসপিআর ডিজি

আইএসপিআর-এর ডিজি লে. জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল এবং তাদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমারুও ছিল। সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা দ্রুত আত্মঘাতীদের নিষ্ক্রিয় করে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তিনি দাবি করেন, সেনা অভিযানের সময় কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি।

মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে বোলান পাসের ধাদার এলাকায় ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। ট্রেনের নয়টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

সন্ত্রাসীরা প্রথমে বিস্ফোরক ব্যবহার করে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত করে ট্রেনটি থামিয়ে হামলা চালায়। ট্রেনচালকসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলার সময় ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্দোষ যাত্রীদের ওপর গুলি চালানো পশুদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া যায় না। তিনি হামলায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

এই ঘটনায় রেলপথের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।