ব্রিটিশ হাইকমিশনে পুলিশ প্রহরা তুলে নিয়েছে ভারত

নয়াদিল্লীতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের বাইরের পুলিশ প্রহরা তুলে নিয়েছে ভারত। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনের নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। ভারতে ব্রিটেনের অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কমানো হতে পারে। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে শিখ চরমপন্থীদের হামলার জেরে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের পুলিশ প্রহরা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

ভারত সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে কয়েকটি দেশের দূতাবাসকে বর্তমানে যে ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তার প্রয়োজন নেই। কারণ এসব দূতাবাস ভারতে কোনো হুমকিতে নেই। সে তুলনায় ব্রিটেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ভারতীয় কূটনীতিকরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাচ্ছেন না।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে নর্থ দিল্লী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এনডিএমসি) কয়েকটি আবর্জনাবাহী গাড়িতে করে দিল্লীর ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাস্তার উল্টোদিকের বালুর বস্তাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। হাইকমিশনারের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বেষ্টনি হিসেবে ওইসব বস্তা সেখানে রাখা হয়েছিল।

বালুর বস্তার পাশাপাশি ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে ও সামনের সড়কে মোতায়েন পুলিশ সদস্যদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরের পুলিশ প্রহরাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আরও কিছু ব্রিটিশ স্থাপনার নিরাপত্তা মাত্রা কমানো হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ভারত মনে করছে, লন্ডনে ভারতীয় মিশনে শিখ চরমপন্থীরা হামলা করতে পারে এ মর্মে গোয়েন্দা তথ্য পাবার পরও ব্রিটিশ সরকার দূতাবাসের নিরাপত্তা বিধানে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে চরমপন্থীরা গত সপ্তাহে দূতাবাসে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে ভারতের পতাকা সরিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানের পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনের পুলিশ প্রহরা ও বেষ্টনি গতকাল সরিয়ে নেওয়া হয়

একটি সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিলের পাশাপাশি ভারত লন্ডনের ঘটনায় ব্রিটেনের কাছে জোরালো বার্তা পাঠাতে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত নয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও ভাবছে। শিখস ফর জাস্টিস নামে একটি সংগঠন লন্ডনে যেসব কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, সেগুলোর জবাবে ব্রিটিশ সরকার কি পদক্ষেপ নেয়, ভারত তা পর্যবেক্ষণ করছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, লন্ডনের পর স্যান ফ্রান্সিসকো ভারতীয় কনস্যুলেটে খালিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয়েছে। ওই ঘটনাটিও ভারতকে হতাশ করেছে। মার্কিন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা স্যান ফ্রান্সিসকোর ঘটনার নিন্দা জানালেও শহরটির প্রশাসন এখনও ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়াতেও শিখ চরমপন্থী নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে। তাদের প্রতি পাকিস্তানের আইএসআইর সমর্থনও আছে। ভারত আশা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার এসব নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবে।