নর্দস্ট্রিমে বিস্ফোরণ: নিরাপত্তা পরিষদের তদন্ত চায় চীন

নর্দস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশের আহ্বান জানিয়েছে চীন। নিরাপত্তা পরিষদের পশ্চিমা সদস্যরা এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে বলে দেশটি আশা প্রকাশ করেছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন

আজ দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, নর্দস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি লক্ষ্যনিবিষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে।

তিনি বলেন, নর্দস্ট্রিম ও নর্দস্ট্রিম-২ পাইপলাইনে বিস্ফোরণ তদন্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উদ্যোগ জরুরি। এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবের খসড়া প্রণয়নে নিরাপত্তা পরিষদে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে বলে চীন আশা করছে।

তিনি আরও বলেন, নর্দস্ট্রিম ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি পশ্চিমা সদস্যরাষ্ট্রের অবস্থান চীন লক্ষ্য করেছে। আমরা আশা করি, নিজেদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ ভুলে এসব দেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে, সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং গঠনমূলক মনোভাব প্রদর্শন করবে, যাতে বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ শীঘ্রই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারে।

চীনের এ কূটনীতিক বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি অবকাঠামোয় নর্দস্ট্রিমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ পাইপলাইন সিস্টেমে বিস্ফোরণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। কাজেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া আবশ্যক।

রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের অন্যতম প্রধান মাধ্যম নর্দস্ট্রিম ও নর্দস্ট্রিম-২ পাইপলাইন। মূলত জার্মানি ও রাশিয়ার মালিকানাধীন এ পাইপলাইন সিস্টেম জার্মানি ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পরিকল্পিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে বাল্টিক সাগরের তলদেশে পাইপলাইন দুটির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়।

নর্দস্ট্রিমে বিস্ফোরণের ঘটনায় জার্মানি, ডেনমার্ক ও্ সুইডেন সরকার তদন্ত করলেও এসব তদন্তের ফল তারা প্রকাশ করেনি। রাশিয়া সরকার এ তদন্তে অংশ নিতে চাইলেও পশ্চিমা দেশগুলো সাড়া দেয়নি।

এর আগে রাশিয়া নর্দস্ট্রিম বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করে। চলতি মাসের শেষদিকে রাশিয়ার প্রস্তাবটির ওপর ভোট হতে পারে।