নিউজিল্যান্ডের লড়াই ছাপিয়ে বিরল আউট

২২ গজে কালেভদ্রে অদ্ভুত কিছু আউট দেখা যায়। আজ শুক্রবার হেডিংলিতে তেমনই এক বিরল আউটের সাক্ষী হলো দর্শকরা। ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচের বলে সজোরে শট খেলেন হেনরি নিকোলস। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ডারিল মিচেল ব্যাট সরানোর চেষ্টা করলেন বটে, কিন্তু পারলেন না। বল তার ব্যাটে লেগে জমা পড়ল মিড অফে থাকা অ্যালেক্স লিচের হাতে!

ডারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল

দুর্ভাগ্যক্রমে অদ্ভুত ক্যাচে আউট হয়ে গেলেন নিকোলস। সৌভাগ্যক্রমে পাওয়া উইকেট উদযাপনে ফেটে পড়ল ইংল্যান্ড। বিপদ বেড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মিচেল ও টম ব্লান্ডেল। ষষ্ঠ উইকেটে ১২০ রানের জুটি গড়ে লড়াই জমিয়ে দিলেন তারা। মিচেল সুবাস পাচ্ছেন সেঞ্চুরির। আর হাফসেঞ্চুরি করেছেন ব্লান্ডেল।

তিন ম্যাচের সিরিজ আগেই ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। লিডস টেস্টের প্রথম দিনেও বিপর্যয় নেমে আসে নিউজিল্যান্ড শিবিরে। ১২৩ রানের মধ্যে প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। পরে মিচেল-ব্লান্ডেল পথ দেখান দলকে। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ২২৫ রান তুলে তৃতীয় টেস্টের শুরুর দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই নিউজিল্যান্ড হারায় ওপেনার টম লাথামের উইকেট। পরে উইকেটে থিতু হয়ে আউট হলেন আরো চারজন। উইল ইয়ং ২০, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩১, ডেভন কনওয়ে ২৬ এবং নিকোলস ১৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। প্রত্যেকেই অবশ্য খেলছিলেন আদর্শ টেস্ট মেজাজে। কিন্তু টিকে থাকতে পারলেন না।

প্রথম দুই টেস্টে শতক বঞ্চিত হওয়া মিচেল ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন। ৫৫ রানে অজেয় আছেন তার সঙ্গী ব্লান্ডেল। সবশেষ পাঁচ ইনিংসে তাদের জুটি হলো ৫৯৩ রানের। যা নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কোনো সিরিজে সর্বোচ্চ জুটি। মিচেল-ব্লান্ডেল পেছনে ফেলেছেন ১৯৯০-৯১ মৌসুমে গড়া মার্টিন ক্রো ও আন্ড্রু জোন্সের ৫৫২ রানের জুটিকে।

নিউজিল্যান্ডের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও জ্যাক লিচ। জেমস অ্যান্ডারসনের পরিবর্তিত হিসেবে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জেমি ওভারটনের শিকার একটি। বৃথা হাত ঘুরিয়েছেন ম্যাটি পটস ও জো রুট।