তাসকিন: ওই সময় আসেনি যে বিশ্রাম দরকার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার ৮ বছরের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার ইনজুরিতেই প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান ডানহাতি এ ফাস্ট বোলার। মাশরাফির জায়গাতেই ওই বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাসকিনের। তারপর থেকে তিন ফরম্যাটেই খেলছেন তিনি। যদিও ইনজুরি, পড়তি ফর্ম মিলিয়ে জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন এ তরুণ পেসার।

তাসকিন আহমেদ

তাই তো এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে ৯২টি ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি তাসকিন। ইনজুরি ও তিন ফরম্যাটে টানা খেলার ধকল মিলে তারও বিশ্রামের কথা উঠছে সম্প্রতি। যদিও দারুণ ফিট হওয়ায় সব ফরম্যাটেই তার উপস্থিতি আশা করছেন অধিনায়করা।

এখনই বিশ্রামের কথা ভাবছেন না তাসকিন। বয়স মাত্র ২৭, তাই এই সময়ে বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যেতে চান। তিনি মনে করেন, এখনও তার ক্যারিয়ারে ওই সময় আসেনি যে বিশ্রাম নিতে হবে। সফর ফরম্যাটে টানা খেলাটা কঠিন মনে হলে তাসকিন নিজেই জানিয়ে দেবেন যে, আমার কোনো এক ফরম্যাটে বিশ্রাম দরকার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটে বিশ্রাম নেবেন কিনা জানতে চাইলে বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে তাসকিন বলেন, ‘আমি সব ফরম্যাট খেলতে চাই, সব ফরম্যাট। যদি কখনও দেখি পারছি না, তখন বলব। কিন্তু এখন আসলে এমন মনে হয় না। এখন ফিট হয়ে ভালোমতো খেলার সময়। আমার স্বপ্ন আসলে ওয়ার্ল্ডক্লাস হতে চাই। এখনও আসলে ঐ সময় আসে নাই যে আমার বিশ্রাম দরকার।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাওয়া কাঁধের ইনজুরির কারণে আড়াই মাস জাতীয় দলের বাইরে থাকতে হলো তাসকিনকে। ইনজুরি সেরে যাওয়ায় এখন পুরো ফিট তিনি। শুক্রবার ক্যারিবিয়ানের উদ্দেশ্যে সতীর্থদের সঙ্গে উড়াল দেবেন তাসকিন।

ক্যারিবিয়ানে যাওয়ার রোমাঞ্চ নিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামে ২৭ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, ‘আমি চাইব সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে যেন জয় উপহার দিতে পারি। সবসময়ই এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দেবো, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আসলে ইনজুরি ফাস্ট বোলারদের টুকটাক হয়। কামব্যাক করতে হবে, এটাই চ্যালেঞ্জ। এটাতে মজাও আছে। আল্লাহ যদি চান প্রায় আড়াই মাস পর দলের সাথে যুক্ত হতে পারলে এটা সব থেকে বেশি আনন্দের হবে। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এটাই সব থেকে শান্তির বিষয়, দলের সঙ্গে থাকা।’