জয়-শান্তর লড়াই, তবুও ইনিংস হারের শঙ্কা

অ্যান্টিগা টেস্টের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দল স্রোতের বিপরীতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচের লাগাম পাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টায়ও সাফল্য মিলছে না।

দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারছে না টাইগার ব্যাটাররা

গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ২৬৫ রানে। ১১২.৫ ওভার ব্যাট করেছিল স্বাগতিকরা। ওভার প্রতি রানরেট ২.৩৪। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের লিড পায় তারা। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ ৪টি উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের থামিয়েছেন।

পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারছে না। আলজারি জোসেফের ছোবলে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে টাইগাররা। গতকাল দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫০ রান।

তৃতীয় উইকেটে ১৫ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছে মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। জয় ১৮ ও শান্ত ৮ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। এখনও ১১২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থ্যাৎ ইনিংস হার এড়াতে আরও ১১২ রান করতে হবে টাইগারদের।

অ্যান্টিগার উইকেটে রান করা সহজ নয়, স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়েই সেটা স্পষ্ট ছিল। খুব ধীর গতিতে রান তুলেছে তারা। কিন্তু তামিম ইকবালের কীসের তাড়া ছিল কে জানে! দ্রুত রান তোলার নীতিতে কেন হাঁটলেন অভিজ্ঞ এ ওপেনার? আলজারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। মাথা নাড়াতে নাড়াতে ফেরা এই ওপেনার বল খেলেছেন ৩১টি। চারটি চারে ২২ রান করেছেন।

নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মিরাজকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ৬ বল খেলে ২ রান করা মিরাজ আলজারি জোসেফের শিকার হয়েছেন। পরে আর বিপদ হতে দেননি জয়-শান্ত। জয় ৬০ বল খেলে ১৮, শান্ত ২৩ বল খেলে ৮ রান করে অপরাজিত আছেন।

এর আগে গতকাল শেষ ৮ উইকেটে ১৭০ রান যোগ করেছিল উইন্ডিজরা। দিনের প্রথম সেশনে দুবার জীবন পাওয়া এনক্রুমা বনারকে বোল্ড করেন সাকিব। এবাদতের করা ৫৩তম ওভারে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, কিপার সোহান ক্যাচও ধরেছেন। কিন্তু সোহান বা ফিল্ডারদের কেউই আবেদন করেননি।

৫৮তম ওভারে খালেদের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন বনার। এ যাত্রা শান্ত হাতই বাড়াননি বলের দিকে, এতটাই অমনোযোগী ছিলেন যে বলটা তাকেই ধরতে হবে, হাত বাড়াতে হবে, সেটিও বুঝতে পারেননি। সেই বনার ৩৩ রান করেন।

লাঞ্চের পর নতুন বলে খালেদ থামান উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। এলবির ফাঁদে পড়া ব্রেথওয়েট ৯৪ রান করেন ২৬৮ বল খেলে। পরে মিরাজের ঘূর্ণিতে ১৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। কাইল মেয়ার্স (৭), জশুয়া দা সিলভা (১), আলজারি জোসেফকে (০) ফেরান মিরাজ। কেমার রোচকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত।

একপ্রান্ত আগলে থাকা জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফেরান খালেদ। ব্ল্যাকউড ৬৩ রান করেন। জেডেন সিলসকে (১) এলবির ফাঁদে ফেলে ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস শেষ করে দেন মিরাজ। ৫৯ রানে ৪ উইকেট নেন এ অফস্পিনার। এবাদত, খালেদ ২টি করে, সাকিব-মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট পান।