রাজস্থানকে উড়িয়ে দিল কলকাতা

বোলাররা নাগালে রেখেছেন লক্ষ্যমাত্রা। ব্যাটাররা সেরেছেন জয়ের বাকি কাজ। রাজস্থান রয়্যালসের ছুড়ে দেওয়া লড়াকু চ্যালেঞ্জ কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) পেরিয়ে গেল পাঁচ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই। আইপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে এটা কলকাতার চতুর্থ জয়। ঠিক বিপরীত অবস্থা রাজস্থানের। তারা হারল চতুর্থ ম্যাচ।

রাজস্থানকে উড়িয়ে দিল কলকাতা

মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫২ রানের পুঁজি তোলে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় তিন উইকেট হারে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা। এই জয়ে প্লে-অফ পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা। তবে হারলেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি রাজস্থানের।

রাজস্থান দেড় শ ছাড়িয়েছে অধিনায়ক স্যামসনের ব্যাটে। দলের সংগ্রহও বড় হয়নি তারই কারণে। ৪৯ বলে ৫৪ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া জস বাটলার ২৫ বলে ২২, করুন নয়ার ১৩ বলে ১৩, রিয়ান পরাগ ১২ বলে ১৯ এবং শিমরন হেটমায়ার ১৩ বলে ২৭ রান করেন। কলকাতার পক্ষে ৪৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন টিম সাউদি। সুনিল নারাইন উইকেট না পেলেও চার ওভারে খরচ করেন ১৯ রান।

রান তাড়ায় শুরুতে ভালোই চাপে থাকল কলকাতা। ষষ্ঠ ওভারে ৩২ রানের মধ্যে তারা হারায় দুই ওপেনার বাবা ইন্দ্রজিত ও অ্যারন ফিঞ্চকে। প্রথমজন ১৬ বলে ১৫ এবং দ্বিতীয়জন সাত বলে চার রানে আউট হন। পরে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার উইকেটের লাগাম টানতে গিয়ে ব্যাটিং করেন মন্থর গতিতে। ৩২ বলে ৩৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আস্কিং রেটের চাপ সামাল দেন নিতিশ রানা। তার চেয়েও বেশি বিধ্বংসী ছিলেন রিংকু সিং। দুজনই দলকে জিতিয়ে ছেড়েছেন ২২ গজ। রানা ৩৭ বলে ৪৮ এবং রিংকু ২৩ বলে ৪২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে অপরাজিত থাকেন। বিধ্বংসী এই ইনিংসটাই রিংকুর হাতে তুলে দিয়েছে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। কলকাতার তিন উইকেট নেন রাজস্থানের তিন বোলার ট্রেন্ট বোল্ট, প্রশিধ কৃষ্ণা ও কুলদীপ সিং।

পরবর্তী দিনের খেলা:

৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার): গুজরাট টাইটান্স-পাঞ্জাব কিংস, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ:

৭ মে (শনিবার): রাজস্থান রয়্যালস-পাঞ্জাব কিংস, বিকেল ৪টা।
৭ মে (শনিবার): কলকাতা নাইট রাইডার্স-লখনৌ সুপার জায়ান্টস, রাত ৮টা।