শিরোপা জিতল শেখ জামাল

বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ অনায়সেই জিতে গেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিরুদ্ধে। মাশরাফি-সাকিবরা ১৯৬ রানে জিতেছেন ম্যাচ। তাদের জয়ের পর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সামনেও টার্গেট ঠিক হয়ে যায়, আজই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করতে হলে জিততেই হবে। আর হেরে গেলে শেষ রাউন্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটাররা

শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর নিয়ে যায়নি শেখ জামাল। আজ মঙ্গলবারই মিরপুর স্টেডিয়ামে শিরোপা উৎসবে মেতেছে ইমরুল কায়েসরা। মিরপুরে আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো শেখ জামাল।

১৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে রূপগঞ্জের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। আগামী ২৮ এপ্রিল লিগের শেষ ম্যাচে শেখ জামাল হারলেও তাই সমস্যা নেই। কারণ তখন রূপগঞ্জ জিতেও ইমরুল বাহিনীকে ধরতে পারবে না। দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ৪।

সকাল থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন শেখ জামালের শ’দুয়েক সমর্থক। অবশ্য সমর্থকের চেয়ে শেখ জামালের একাডেমির ক্রিকেটার পরিচয়টাই তাদের জন্য যথাযথ। তীব্র গরমে, রোদে ক্লাবের ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন তারা। দিনশেষে তাদের চিৎকার-চেষ্টা উল্লাসে রূপ নিয়েছে। ইমরুলদের সঙ্গে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে সমর্থকরাও উৎসব করেছেন।

প্রিমিয়ার লিগে অতীতে কখনোই ট্রফি জিতেনি শেখ জামাল। ইমরুলের নেতৃত্বে এবার প্রিমিয়ার লিগ জিতল ক্লাবটি। এর আগে সোহানের অধিনায়কত্বে প্রিমিয়ার লিগ টি-২০ ট্রফি জিতেছিল শেখ জামাল। ইমরুল কায়েস অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত সাফল্য পেলেন। বিপিএলের পর প্রিমিয়ার লিগেও চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি।

আবাহনী আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২২৯ রান তুলেছিল। তৌহিদ হৃদয় ৫৩, আফিফ ২৯, জাকের অপরাজিত ৪৭, সাইফউদ্দিন অপরাজিত ৪৪ রান করেন। জবাবে নুরুল হাসান সোহানের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রান তুলে জয় পায় শেখ জামাল।

৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টেনে তোলেন সোহান। ষষ্ঠ উইকেটে পারভেজ রাসুলের সঙ্গে ৭২ ও ৭ম উইকেটে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়েন সোহান। ৮১ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। পারভেজ রাসুল ৩৩, জিয়াউর অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ম্যাচসেরা হন সোহান।