ছয় বছর পর ইমরুলের সেঞ্চুরি

২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে একটা সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটা কি মনে আছে ইমরুল কায়েসের? নাও থাকতে পারে! এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গেছে অনেক কিছু। ইমরুলও অনেক পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশ দলে কখনো তার জায়গা পাকা হয়েছে। কখনো হয়েছে নড়বড়ে। ক্যারিয়ারের নানা উত্থান- পতনের গল্পের পর আজ হয়তো আবার ছয় বছর ও ৪৯ ইনিংস আগের সেই স্মৃতিটি মনে পড়ে যাচ্ছে ইমরুলের। কারণ আজই যে দীর্ঘ ছয় বছর আবার তিন অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল। ওয়ানডে দলের নড়বড়ে জায়গাটা ওই ইনিংসের পরই মূলত কিছুটা পাকা হয়েছে। সৌম্য সরকারকে সরিয়ে ওই ইনিংসের মাধ্যমেই আমার ওপেনিংয়ে ফিরেছেন তিনি। ফিরেই সেঞ্চুরি! ফিরে আসার কী দারুণ গল্পই না লিখলেন তিনি! যে গল্পের শুরুই হয়েছিলো একটা বিশাল ছয় দিয়ে। 

এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে ইমরুলের সর্বশেষ চার ওয়ানডে ইনিংস হলো এ রকম ৭৬, ৭৩, ৩৭ ও আজকের সেঞ্চুরি। এরপরও ওয়ানডে ওপেনিংয়ে ইমরুল নিয়মিত মুখ নন। এ নিয়ে হয়তো আফসোসও ছিলো ইমরুলের। ছিলো হয়তো চাপা বেদনাও।

সেই বেদনা উপশম করতে ইমরুল বেছে নিলেন তার কাজটাকেই। যা বলার বললেন ব্যাট হতেই। ইমরুল তার বলার ধরনের একটা বড়সড় ‘ডামি’ দেখিয়ে দিয়েছিলেন ফতুল্লায়। ৮১ বলে সেঞ্চুরি করে। এবার মূল সিরিজে এসেও ইংলিশদের বিরুদ্ধে তিনি আবির্ভূত হলেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে।

টেস্টে তামিমের সঙ্গে দেশের ‘দ্বিতীয়’ সেরা ওপেনার হলেও, ওয়ানডেতে যে তাকে এতোদিন উপেক্ষা করা হয়েছে, ইমরুলের সেঞ্চুরিটি সেই উপেক্ষারও এক সমুচিত জবাব। এবার নিশ্চয় তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ইমরুলকে নামাতে আর দোটানায় পড়তে হবে না টিম ম্যানেজমেন্টকে!

আপনি আরো পড়তে পারেন

মাশরাফির অন্য রকম হাফ সেঞ্চুরি

বাংলাদেশকে ইংল্যান্ডের ৩১০ রানের চ্যালেঞ্জ

জায়গা হারালেন সৌম্য, ইমরুলকে নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের সূচি