সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ইংল্যান্ড সিরিজের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলেছে ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ। সবগুলোতেই এসেছে জয়। আজ দেশের মাটিতে টানা সপ্তম সিরিজের জয়ের মিশন নিয়ে মাঠে নামছেন মাশরাফিরা। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

বেলা আড়াইটায় মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে দুই দলের উভয় অধিনায়ক প্রথম ম্যাচ থেকেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা ঘরের মাঠের দারুণ রেকর্ডের পরও নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন না। পক্ষান্তরে ইংলিশ অধিনায়ক সমীহ করছেন মাশরাফিদের।

প্রথমবারের মতো ইংলিশদের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া জস বাটলার ফেভারিট হওয়া না-হওয়া নিয়ে বলেন, ‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশ গত দেড় দুই বছরে অসধারণ পারফর্ম করেছে। সে হিসেবে আমাদের যদি ‘আন্ডারডগ’ বলা হয়, আমরা কিছু মনে করবো না। আন্ডারডগ হওয়াটা বোধহয় আমাদের সাথে খাপও খেয়ে যায়!’

এই কথাটা বলে জস বাটলার তার বিনয়ী ব্যক্তিত্বের প্রকাশই করেছেন। তবে ভিতরে ভিতরে জয়ের নেশাটা পুষে রাখছেন তিনিও। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার ইতিহাসটা নিশ্চয় ভোলেনি ইংলিশরা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি দিয়ে এ বছরের দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম সিরিজ ছিলো গত সপ্তাহে শেষ হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি। ওই সিরিজের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ড সিরিজের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য মূলত ডেকে আনা হয়েছিলো আফগানদের। সব প্রস্তুতি শেষে আজ ইংলিশদের বিপক্ষে ১৭তম ওয়ানডে খেলতে নামছেন মাশরাফিরা। তাদের বিপক্ষে আগে খেলা ১৬ ওয়ানডের ১৩টিই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। জয় এসেছে বাকি তিনটিতে। দুই দলের সর্বশেষ পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে তিনবারই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটিই আবার বিশ্বকাপে।

সে হিসেবে সাম্প্রতিক পারফর্মের বিচারে বাংলাদেশই আজ কিছুটা এগিয়ে থাকছে। বাংলাদেশ এগিয়ে থাকছে ইংলিশ দলে অ্যালেক্স হেলস ও ইয়ন মরগান না থাকার কারণেও। গত এক বছরে এ দুজনই ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে আসেননি এ দুজন।

গুলশানের হলি আর্টিজান ঘটনার কারণে এই সিরিজ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হয়ে সিরিজে এসেছে ইংলিশরা।

এই সিরিজে নিরাপত্তার জন্য নজিরবিহীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আর্মড পুলিশের সঙ্গে, র্যাব, সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন এবং বিমান বাহিনীর একটি দল সিরিজের নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে একদিন আগে মিরপুরে সেনাবাহিনীল মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ দিকে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ দলে নাও দেখা যেতে পারে সৌম্য সরকারকে। ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ এই ওপেনারের জায়গায় ঢুকে যেতে পারেন ইমরুল কায়েস। অন্য দিকে পেসার শফিউল ইসলামের জায়গায় মূল একাদশে দেখা যেতে পারে আফগানিস্তান সিরিজে দলে না থাকা আল আমিন হোসেনকে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আল আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।

ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: জ্যাসন রয়, জেমস ভিনসে, বেন ডাকেট, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, জস বাটলার, মঈন আলি, ক্রিস ওকস, ডেভিড ভিলে, লিয়াম প্লানকেট ও আদিল রশিদ।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের সূচি

নিজেদেরকে পিছনেই রাখছেন ইংলিশ অধিনায়ক!

ইংলিশরা কতোটা কঠিন প্রতিপক্ষ?

এক নজরে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের সময় সূচি

ওয়ানডেতেও স্থায়ী হচ্ছেন ইমরুল?