মাশরাফিদের কাঁপিয়ে হারল সিটি ক্লাব

আগের রাতের বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ভেজা ছিল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪০ ওভার হয়ে যায়। ইউল্যাব মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সিটি ক্লাব। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা ক্লাবটি জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।

বাবা অপরাজিত ও চিরাগ জানি

বৃহস্পতিবার ২২৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আশিক উল আলমের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের পথেই ছিল সিটি ক্লাব। দলীয় ১৮৭ রানে আশিক বোল্ড হন চিরাগ জানির বলে। তারপরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি। চিরাগ জানির অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কাছেই মূলত হেরে গেল সিটি ক্লাব। ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির পর বোলিংয়ে ২৮ রানে চার উইকেট নিয়েছে ভারতীয় এই ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ২২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফির রূপগঞ্জ। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৩৬ রানে পরাজিত করেছে ‍রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।

আজ আগে ব্যাট করে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে ২২৫ রান তুলেছিল। চিরাগ জানি ৫১, নাঈম ইসলাম ৫২, তানবির হায়দার অপরাজিত ৩৪, ইরফান শুক্কুর ১৯, সাব্বির রহমান ১৮ রান করেন। সিটি ক্লাবের আব্দুল হালিম, উসমান খালিদ ৩টি করে এবং মাহিম-রুয়েন ১টি করে উইকেট পান। জবাবে ৩৭.৫ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব।

জাকিরুল ৫৬, আশিক ৬২, মইনুল ২১, রাজু ২৪, উসমান খালিদ ২২ রান করেন। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চিরাগ জানি ৪টি, মেহেদী হাসান রানা ২টি, মাশরাফি, আল-আমিন, নাবিল সামাদ ১টি করে উইকেট পান। চিরাগ জানি ম্যাচ সেরা হন।

বিকেএসপিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ৭ উইকেটে ২৫৯ করেছিল। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন বাবা অপরাজিত। ভারতীয় এ ব্যাটসম্যান ১২০ বলে ৯৮ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ৫২, মার্শাল আইয়ুব ৬৩, ফরহাদ রেজা অপরাজিত ১৪ রান করেন। খেলাঘরের মাসুম খান, ইলিয়াস সানি ২টি করে উইকেট পান।

পরে ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় খেলাঘর। ইলিয়াস সানি ৫৯, সালমান ৫৮, হাসানুজ্জামান ২৫, অমিত হাসান ২৫, মাসুম খান ২৯ রান করেন। রূপগঞ্জ টাইগার্সের নাসুম, শরীফউল্লাহ, এনামুল জুনিয়র, মুকিদুল, ফরহাদ রেজা ২টি করে উইকেট নেন। বাবা অপরাজিত ম্যাচ সেরা হয়েছেন।