রানবন্যার ম্যাচে পাঞ্জাবের রোমাঞ্চকর জয়

টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তুলেছিল বড় সংগ্রহ। কিন্তু বিবর্ণ বোলিংয়ে তা আগলে রাখতে ব্যর্থ হলেন বোলাররা। ব্যাঙ্গালুরুর ছুঁড়ে দেওয়া ২০৫ রানের পাহাড় পাঞ্জাব কিংস টপকে গেল এক ওভার ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই। ব্যাটিংস্বর্গে রানবন্যার ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয়ে আইপিএল শুরু হলো পাঞ্জাবের (২০৮/৫)।

রানবন্যার ম্যাচে পাঞ্জাবের রোমাঞ্চকর জয়

আজ রোববার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেটে দু'শ ছাড়ায় ব্যাঙ্গালুরু। দলটির বড় সংগ্রহের নায়ক নতুন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে ফিরেছেন তিনি। সেই আক্ষেপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সেটা বিফলে যাওয়ায়। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় বিশাল লক্ষ্যে মায়াঙ্ক আগারওয়াল পাঞ্জাব পৌঁছে গেল হেসেখেলেই।

ব্যাঙ্গালুরুর দু'শ ছাড়ানোর মূল কারিগর ডু প্লেসি। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। সেঞ্চুরির সুবাসও পেয়েছিলেন। কিন্তু ৫৭ বলে ৮৮ রানে আউট হয়ে যান ডুু প্লেসি। তিনটি চার ও সাত ছক্কায় বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজান প্রোটিয়া তারকা। তার সঙ্গী অঞ্জু রাওয়াত কুড়ি বলে ফেরেন ২১ রানে।

কোহলির উল্লাস

পরে ঝড় ওঠে বিরাট কোহলি ও ডিনেশ কার্তিকের ব্যাটে। ২৯ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় কোহলি অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। ১৪ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৩২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে অজেয় থাকেন কার্তিক। পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রাহুল চাহার চার ওভারে ২২ রানে নেন এক উইকেট। অন্যটা আর্শদীপ সিংয়ের শিকার।

হিমালয়তুল্য লক্ষ্য দেখে অবশ্য ভড়কে যায়নি পাঞ্জাব। ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন দলটির দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ান। দুজন মিলে সাত ওভারে তুলে ফেলেন ৭১ রান। তাতে করে রানের চাপ থেকে অনেকটাই স্বস্তি পায় পাঞ্জাব। তাদের এনে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের পথেই হাঁটলেন অন্যরা। কেবল রাজ বাওয়া ছাড়া ব্যাট হাতে অবদান রাখলেন সবাই।

রাজ খুলতে পারেননি রানের খাতা। তবে যে ছয়জন দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন তাদের কেউ পাননি ব্যক্তিগত ফিফটি। ২৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩২ রানে ফেলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক আগারওয়াল। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ধাওয়ান ২৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় তোলেন ৪৩ রান। সমান রান করতে ২২ বল খরচ করেন ভানুকা রাজাপাকশে। দুটি চার ও চার ছক্কায় সাজানো ছিল লঙ্কান তারকার ইনিংস।

১০ বলে দুই ছক্কায় ১৯ রানে বিদায় নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ দিকে শাহরুখ খান ২০ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ওডেন স্মিথ ৮ বলের অজেয় টর্নোডো ক্যামিও ইনিংসে মারেন একটি চার ও তিন ছক্কা। ২৫ রানের এই ইনিংসটাই তার হাতে তুলে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এমন দিনে ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা উপহারসূচক অতিরিক্ত ২২ রান দিয়েছেন পাঞ্জাবকে। যা গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।

ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। তবে ৫৯ রান দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আকাশ দীপ, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও হার্শাল পাটিল নেন একটি করে উইকেট।

দুই দলের পরবর্তী খেলা:

৩০ মার্চ (বুধবার): রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাত ৮টা।
১ এপ্রিল (শুক্রবার): কালকাতা নাইট রাইডার্স-পাঞ্জাব কিংস, রাত ৮টা।

পরবর্তী দিনের খেলা:
২৮ মার্চ (সোমবার) গুজরাট টাইটান্স-লখনৌ সুপার জায়ান্টস